প্রহরী

শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ি
পড়তে লাগবে: 2 মিনিট

শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসছে!

প্রথম বারের মতো ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে ছাড়লো স্মার্ট ফোনের পরিচিত ব্র্যান্ড “শাওমি”। তাঁদের নতুন এই গাড়িতে ৩টি ভিন্ন ধরনের ভেরিয়েন্টে দেখা যায়। তবে কি ইলেকট্রিক কারের জগতে প্রবেশ করে শাওমি টেসলা কোম্পানিকে টক্কর দিতে চললো? চলুন দেখে নেওয়া যাক শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ি কি কি চমক নিয়ে এসেছে! শাওমি জানিয়েছে, উন্মোচনের মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি গাড়ির অর্ডার পেয়েছে তারা।

কেন সাড়া ফেলেছে শাওমি ইলেকট্রিক গাড়ি?

চায়না বাজারের সাথে সাথে ধীরে ধীরে বাড়ছে শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। এই গাড়ি যেন এক অন্যরকম সাড়া জাগিয়েছে সবার মাঝে। আসুন জেনে নেই কি কারণে সাড়া ফেলেছে শাওমির এই নতুন ইলেকট্রিক গাড়িগুলো!

  • গাড়িটির দিকে তাকালেই প্রথমেই যে বিষয় মাথায় আসে তা হল- “আভিজাত্য”। বিখ্যাত এই গাড়িটিকে দেখেই স্পোর্টস কারের মতো মনে হয়। ফলে এটির বাহ্যিক দিক থেকেও বেশ বড় ধরনের চাহিদার বাজার দখল করে আছে।
  • স্বল্প বাজেটের এই গাড়িতে বিল্ড ইন ব্যাটারিও আছে। এটি বিষয়টিও ক্রেতাদের মাঝে বেশ ভালো আগ্রহ জমিয়েছে।
  • শাওমির এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে ই-মোটর। এতে বাই-ডাইরেকশনাল ফুল অয়েল কুলিং প্রযুক্তিও যুক্ত করা হয়েছে। আছে হাইপার ইঞ্জিন V8s। আপনি যদি গতি নিয়ে প্রশ্ন করেন, উত্তর আসবে এটি সর্বোচ্চ 27,000rpm স্পিডে যেতে পারবে। সর্বাধিক 425 কিলোওয়াট শক্তি এবং 635 এনএম টর্ক তৈরি করতে সক্ষম।
  • পছন্দের আরেকটি কারণ হচ্ছে “গাড়ির রেঞ্জ” । শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ির যে টপ মডেল রয়েছে তাতে 101 kwh ব্যাটারি প্যাক রয়েছে যা ফুল চার্জে 810 কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে। সাথে আছে 14টি ফিজিক্যাল প্রোটেকশন লেয়ার রয়েছে।

শাওমি’র বৈদ্যুতিক গাড়িতে কি কি ফিচার্স রয়েছে?

শাওমির এই ইলেকট্রিক গাড়িটি অল হুইল ড্রাইভিং দেয় অন্য ধরনের গতি। এটি গতির দিক থেকে সর্বোচ্চ ৬৬৩ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। এটি অনেক নামি দামী স্পোর্টস কারের থেকেও অনেক বেশি। গাড়িটির চার চাকাতে আছে এল এফ পি ব্যাটারি প্যাক। জানা যায়, এই গাড়ির ওজন ১৯৮০ কেজি এবং গাড়িতে যে টপ-স্পেক ভেরিয়েন্ট ব্যবহার করা এটির ওজন প্রায় ২২০৬ কেজি।

শাওমি’র ইলেকট্রিক গাড়ির অপারেটিং সিস্টেম কি?

শাওমি যেহেতু একটি মোবাইল কোম্পানি তাই অনেকের মাথায়ই প্রশ্ন আসতে পারে, নতুন ইলেকট্রিক গাড়ির অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে। জানা যায় শাওমির গাড়িগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইপার অপারেটিং সিস্টেম। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হলো, এই অপারেটিং সিস্টেমটি কিছুদিন আগেই স্মার্টফোনের জন্য লঞ্চ করে শাওমি। আপনি যদি একই অপারেটিং সিস্টমের ফোন ও গাড়ি ব্যবহার করেন তবে সমস্ত ফিচার্স অ্যাক্সেস করতে পারবেন সহজেই।

Xiaomi SU7-এ আরেকটি বড় সুবিধা রয়েছে, আধুনিক ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম। আরেকটি বড় সুবিধা হল টোল দিতে বুথে আপনাকে বুথে দাঁড়াতে হবে না। আপনার গাড়ির অটোমেটিক কর দিতে পারবে গাড়ির চার চাকা। শাওমির এই ফিচার গাড়িতে ইন-বিল্ট থাকবে। এর জন্য আলাদা কোন সিস্টেম বা সেবা নিতে হবে না।

শাওমি ইলেকট্রিক কারের দাম কেমন?

অনেকেই গাড়ির দাম কেমন জিগেস করছেন। শাওমি কোম্পানি এর আগে গাড়ি বানানো শুরুতেই বলেছিল তাঁরা এক ধরনের উঁচু শ্রেনীর মানুষদের ভোক্তা হিসেবে ধরতে চায়। কিন্তু দামের বেলায় তাঁরা থাকবে প্রতিযোগীতামূলক স্থানে।

দামের প্রসঙ্গে শাওমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুন বলেছেন, শাওমির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ২৯ হাজার ৮৭৪ ডলার থেকে ৪১ হাজার ৪৯৭ ডলারে বিক্রি হবে। অন্যদিকে সিএনএন জানিয়েছে, টেসলার একই মডেলের গাড়ির চেয়ে শাওমির এই মডেলের গাড়ির দাম চার হাজার ডলার কম রাখা হয়েছে। বলা যায় এটি যেন রীতিমতো টেসলা কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা! অন্যদিকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় ইলেকট্রিক কার’টির দাম হবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

পরিসমাপ্তি

শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আসন্ন দিনগুলোতে হয়তো আমাদের দেশের রাস্তা ঘাটেও এই গাড়ির দেখা মিলতে পারে। মোবাইল কোম্পানি হিসেবে যাত্রা করে এই বিখ্যাত কোম্পানি আজ অটোমেশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছে। শুভকামনা রইল, আগামী দিনের নতুন সময়গুলোর জন্য। ইলেকট্রিক গাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top