প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

ট্র্যাফিক জ্যামে আঁটকে গাড়ির চাকা, তবুও নিরাপদ হোক বাড়ি ফেরা!

ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে বিরক্ত হোন নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! আর যারা নিয়মিত ভাবে গাড়ি চালান, তাদের তো ভোগান্তিটাও অনেক বেশি। বিশেষ করে ড্রাইভারদের জন্য যানজট একটি মহা বিড়ম্বনার বিষয়। অনেক সময় তা ড্রাইভিংয়েও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন, তবে জ্যামের মাঝেও নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারবেন। আসুন কিছু দিক নির্দেশনা দেখে নিই, যা আপনাকে জ্যামের মাঝেও নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের নিশ্চয়তা দিবে।

মনোযোগ ধরে রাখুন  

জ্যামের মধ্যে যথা সম্ভব মনোযোগ ধরে রাখতে চেষ্টা করুন। যেহেতু রাস্তা গাড়িতে পূর্ণ থাকে, তাই সে সময় অনেক চালকই অধৈর্য আচরণ করতে পারে। দেখা যাবে হয়তো কেউ একটু ফাঁকা পেলেই গাড়ি এগিয়ে নেবে। আপনি যদি মনোযোগী না হোন তাহলে  হয়তো এসব খেয়াল নাও করতে পারেন, ফলে বিপদও হতে পারে। তাই একটু সাবধান থেকে যতদূর সম্ভব পারেন এসব খেয়াল করে চলতে।

হাতে সময় নিয়ে বের হোন

সবসময় চেষ্টা করুন এমন সময় বের হতে যখন মূলত ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে সেজন্য তাড়াহুড়া না করে বরং হাতে যথেষ্ট সময় নিয়েই বের হতে ট্রাই করুন। অন্তত ১৫ মিনিট সময় আগে কিংবা পরে বের হলে ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও ৫ এমপিএইচ (৮ কিমি/এইচ) স্পীডের নিচে গাড়ি চালান, এমনকি হাইওয়েতেও। সেক্ষেত্রে মনে হতে পারে হয়তো খুব ধীরে চালাচ্ছেন, কিন্তু এতে আপনি অনেকটাই নিরাপদে থাকবেন।

আত্মরক্ষামূলক ড্রাইভিং

অনেক ক্ষেত্রে আত্মরক্ষামূলক ড্রাইভিং আপনাকে বিপদজনক অবস্থা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। সবসময় মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকুন যে, আপনি সব ধরণের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন। যেকোন টাইপের ইমার্জেন্সি অবস্থায় আপনি কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবেন সেটাও মাথায় রাখুন। অন্য কোন গাড়ি যাতে আপনার গাড়িকে ধাক্কা না দিতে পারে, সেজন্য ট্রাফিক এবং রাস্তার অবস্থার  উপর সতর্ক  নজর  রাখতে চেষ্টা করুন। আপাত দৃষ্টিতে যেসব গাড়িকে আগ্রাসী মুডে চলতে দেখবেন, সেগুলো থেকে দূরে  থাকতে পারলেই ভাল হয়। কারণ আপনি হয়তো সবার নিরাপত্তার দিকটা ভেবেই ড্রাইভিং করেন, কিন্তু অনেকই তো আর আপনার মতো সচেতন নয়।

দূরত্ব বজায় রাখুন

সবসময় সামনের গাড়ির সাথে একটু বেশি দূরত্ব রাখতে পারলে ভাল হয়। সামনের গাড়ির সাথে আপনার গাড়ির  মধ্যে যতটা পার্থক্য থাকবে, আপনি তত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুতে পারবেন। কারণ অটোমেটিক গাড়ি চালানোর সময়  আপনার একটু বেশি জায়গার দরকার হতে পারে। সেক্ষেত্রে এটা আপনাকে লোয়ার গিয়ারে সামনে আগানোর বাড়তি  সময় দিবে, মূলত যখন ট্রাফিক সামনে আগানো শুরু করে। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সামনের গাড়ি থেকে কমপক্ষে ৩ সেকেন্ড দূরত্ব বজায় রাখতে।

জরুরী পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুন

সবসময় ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার। অনেক সময় কোন কোন অধৈর্য চালক তাড়াহুড়া করতে গিয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করে বসতে পারে। তাই সদা সতর্ক থাকতে হবে, যাতে গাড়িতে গাড়িতে ধাক্কা বা অন্য কোনরূপ  দুর্ঘটনা না ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক গাড়ি চালকই হুটহাট করে এস্কেলেটর বাড়িয়ে ফেলে, আর যার ফলে স্পীড বাড়ানোর জন্য গাড়ির জ্বালানি বেশি খরচ হয়। ম্যানুয়াল কারের জন্য এটা অনেক বেশি খারাপ। সেজন্য একটা নিৰ্দিষ্ট স্পীডে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করুন।

মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকুন

অনেকসময় আপনার মনের অবস্থা আপনার ড্রাইভিংয়ের উপর প্রভাব ফেলে। আপনি যখন মানসিকভাবে ভালো অনুভব করবেন না, তখন মূলত ট্রাফিক হ্যান্ডেল করা অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে। যদি আপনার খুব বেশি খারাপ লাগে, তবে  গাড়ি  কোথাও  থামিয়ে  রেস্ট  নিতে পারেন। এসময় ইচ্ছা হলে পছন্দের  গান  শুনতে  পারেন,  ভাল কিছু  খেতে পারেন অথবা যা করলে আপনি রিলাক্স বোধ করবেন তা করতে পারেন। তবে আপনি যদি কোন কারণে খুব বেশি ক্লান্ত কিংবা অসুস্থ বোধ করেন, তবে সেই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে ড্রাইভ করা একদমই উচিত হবে না।

ট্র্যাফিক জ্যামের মাঝেও সদা সতর্ক থাকতে ট্রাই করুন। এই সময়টুকুতেও মনোযোগ ধরে রেখে, ধৈর্য সহকারে ড্রাইভিং করুন। নিজের এবং অন্যদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সাবধানে চলতে চেষ্টা করুন। এছাড়াও গাড়ির নিরাপত্তা আর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ভিটিএস প্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারেন। এতে আপনার নিরাপত্তা এবং গাড়ির সুরক্ষা দুটো’ই শতভাগ নিশ্চিত হবে।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top