রহমান সাহেব তার গাড়ি নিয়ে খুব টেনশনে আছেন। গাড়ি মেইনটেন কি চাট্টিখানি কথা? ড্রাইভার ট্রিপ মারছে কি না, অযথা তেল খরচ হচ্ছে কি না, গাড়ি কখন কোথায় যাচ্ছে, এসব নিয়ে টেনশন সবারই থাকে। একদিন তিনি শুনলেন ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং ডিভাইস ইউজ করে না কি এই টেনশনগুলো একদম কমিয়ে ফেলা যায়। তবে শুনে বিশ্বাস করার মানুষ তিনি নন। তিনি যাচাই করে দেখেন সবকিছু। তো তিনি যাচাই করে দেখে কী ফল পেলেন? চলুন জানা যাক,
(১) তিনি শুনেছিলেন এই ডিভাইস একটু পরপর গাড়ি, ড্রাইভার এবং যাত্রীদের অবস্থানগত তথ্য জানিয়ে বিরক্ত করতে থাকে! কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানলেন, নোটিফিকেশন কীভাবে পাবেন, ওয়েবে বা এ্যাপে কীভাবে দেখবেন সেসব নিজেই নির্ধারন করা যায়!
(২) এও শুনেছিলেন যে ভিটিএস এর অবারিত প্রয়োগে যন্ত্রের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়বে, এবং ড্রাইভারেরা সব চাকরি ছেড়ে চলে যাবে! তার ভুল ভাংলো বিশ্বখ্যাত এয়ার কন্ডিশনার নির্মাতা কোম্পানি Ross & Witmer এর প্রেসিডেন্ট ক্লে ফিলিপস এর কথায়, “ আমাদের কর্মীরা ভিটিএস এর সাথে দারুণ ভাবে মানিয়ে নিয়েছে এবং কেউ চাকুরি ছেড়ে যায় নি। ইতিমধ্যেই তারা এর সুফলগুলো সম্পর্কে অবহিত হয়েছে এবং এতে তাদের কর্মস্পৃহা বেড়ে গেছে”।
(৩) সবই তো ভালো, কিন্তু এটি ব্যবহার করা জটিল না তো? একটি ডিভাইসের এ্যাপ্স এর ডেমো গাড়ি ব্যবহার করে তিনি দেখলেন স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর প্রারম্ভিক সেট-আপ এর জন্যে দক্ষ কর্মীরা তো আছেই!
(৪) এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, অযথা খরচ হবে না তো? শুরুতে একগাদা টাকা খরচ করতে হবে, তার ওপর প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জ তো আছেই!
এইবার উন্মোচিত হলো সবচেয়ে চমকপ্রদ সত্যটি। প্রকৃত ব্যাপার হলো, এটা খরচ মোটেই বাড়ায় না, বরং কমায়! ড্রাইভার গাড়িতে বসে অযথাই এসি ছেড়ে দিয়ে আয়েশ করলে ভিটিএস নোটিফিকেশন দিয়ে দেবে। তেল খরচের হিসাবও থাকবে নখদর্পণে!
রহমান সাহেব ভাবছেন একটি ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগিয়েই ফেলা উচিত এবার। আপনি কী বলেন?