প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

ঈদযাত্রা হোক নিরাপদ: দেখে নিন ৮টি টিপস (শেষ-পর্ব)

পরিবারের সবাই একসাথে হয়ে ঈদ উদযাপন করতে আমরা সচরাচর গ্রামের বাড়িতে যাই। সেসময় অনেকই আছেন হয় নিজেই কার ড্রাইভ করেন কিংবা ড্রাইভারকেও সাথে নিয়ে যান। তো সেক্ষেত্রে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছুতে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল করা উচিত। আসুন ঈদযাত্রায় নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদে থাকতে আটটি টিপস দেখে নিই।

আবহাওয়ার খোঁজখবর রাখুন

এখন তো ঝড় বৃষ্টির মৌসুম। তাই যাত্রা শুরু করার আগেই আপনার উচিত হবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নেওয়া। বিরূপ আবহাওয়ার মাঝে পড়ে যাতে ভোগান্তি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ঝড় বৃষ্টির মাঝে সতর্ক হয়ে ড্রাইভিং না করলে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন

সাথে খাবার বিশুদ্ধ পানি রাখুন 

বাইরের বেশিরভাগ খাবারই অস্বাস্থ্যকর। যা খেলে ফুড পয়জনিং এবং নানা রোগ ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভ্রমণের সময় বাসা থেকে খাবার ও ফুটানো পানি নিয়ে যাওয়া ভাল। যতদূর সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা যায় ততই ভাল। আর সাথে যদি বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী নারী এবং শিশু থাকে তবে অবশ্যই বাসা থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে করে খাবার নিয়ে যাবেন।

ওভার স্পীডে গাড়ি চালাবেন না

গ্রামের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছানোর আশায় হাইওয়েতে কখনোই ওভার স্পীডে ড্রাইভ করবেন না। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক অনেক বেশি মূল্যবান। আর দ্রুত বাড়ী যাওয়ার দরকার হলে বরং আগেই রওয়ানা দিবেন। তবুও কখনোই অতিরিক্ত স্পীডে গাড়ি চালাবেন না। আপনার গাড়ি চালককেও এই ব্যাপারে  সতর্ক করে দিবেন। তাকে বেশি স্পীডে গাড়ি ড্রাইভ করতে নিষেধ করবেন। এক্ষেত্রে গাড়িতে প্রহরী ভিটিএসের স্পীড ভায়োলেশন এলার্টটি ঠিক করে নিতে পারেন। ড্রাইভার আপনার বেঁধে দেওয়া গতির থেকে বেশি গতিতে গাড়ি চালালেই তৎক্ষণাৎ মুঠোফোনে নোটিফিকেশন পাবেন।

সাবধানে ফেরি পারাপার হোন

আপনারা যারা গাড়ি নিয়ে ফেরিতে পারাপার হোন। তারা অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না। পারাপারের সময় সঠিক নিয়ম মেনে সিরিয়াল ধরে ফেরিতে উঠুন। বিন্দুমাত্র তাড়াহুড়া করবেন না। অনেক সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে। দেখা যায়- হয়তো পিছনের গাড়ি সামনের গাড়িকে ধাক্কা দেয় কিংবা রেলিং ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যায় ইত্যাদি। সেজন্য নিরাপদে থাকতে যথেষ্ট সাবধান থাকুন। ফেরি পুরোপুরি থামার পরই ধীরে সুস্থে গাড়ি চালিয়ে সামনের পথে এগিয়ে চলুন।

বাচ্চাদের নিয়ে সতর্ক থাকুন 

আপনার সাথে বৃদ্ধ এবং বাচ্চারা থাকলে তাদের নিয়ে সতর্ক থাকুন। খেয়াল রাখুন বয়স্কদের ওষুধ এবং জরুরী জিনিস সাথে নেওয়া হয়েছে কিনা। আর বাচ্চারা অনেক বেশি চঞ্চল প্রকৃতির হয়। লক্ষ্য করুন তারা যেন গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা কিংবা হাত-পা বের করে না দেয়। এছাড়াও গাড়িতে যদি গর্ভবতী নারী থাকে তাহলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ সতর্কতা অবলম্বন করে ড্রাইভিং করুন।

ট্র্যাফিক আইন মেনে চলুন

গাড়ি ড্রাইভ করার সময় অবশ্যই ট্র্যাফিক আইন মেনে চলুন। সবসময় ট্র্যাফিক সিগন্যাল এবং গতিবিধি মেনে চলুন। রাস্তায় কখনোই ওভারটেকিং করতে চেষ্টা করবেন না। কিংবা কখনোই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ড্রাইভ করবেন না। আপনার স্টিয়ারিং হুইলের উপর নির্ভর করে অনেকগুলো জীবনের স্বপ্ন। সুতরাং দুর্ঘটনা ঘটার সকল ধরণের ঝুঁকি এড়িয়ে সতর্কভাবে গাড়ি চালান।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে কল করুন 

যেকোন দুর্ঘটনা বা বিপদের সম্মুখীন হলে তৎক্ষণাৎ জরুরী সেবা নিতে ৯৯৯ নাম্বারে কল করুন। নিজে সমস্যায় না পড়লেও অন্য কারো বিপদ/সমস্যা দেখলেও এই নাম্বারে কল করতে পারেন। আপনার সচেতন পদক্ষেপ হয়তো অনেকেই বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে। সম্প্রতি ৯৯৯ নাম্বারে কল করে একটি ফেরির যাত্রীরা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

মোশন সিকনেস থেকে রক্ষা পেতে 

দীর্ঘসময় ধরে জার্নি করলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে। এই অবস্থাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতি অসুস্থতা। মূলত গাড়িতে উঠলে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে কয়েকটি বিষয় অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন-লম্বা করে শ্বাস নিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকা। অথবা চুপচাপ চোখ বুঝে বিশ্রাম নেয়া কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করা। এছাড়াও জার্নিতে ভালমানের অরেঞ্জ ফ্লেভারের ক্যান্ডি, শুকনো আদা কুচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, পুদিনা পাতা, লেবু ইত্যাদি সাথে রাখতে পারেন। এগুলো ভ্রমণকালীন অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ভ্রমণকালীন সময়ে কিছু ছোটখাটো বিষয়ে সতর্ক নজর দেয়া উচিত। তাহলে দীর্ঘপথের জার্নিতেও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন হোন। সড়ক পরিবহণ আইন মেনে গাড়ি ড্রাইভ করুন। নিরাপদ থাকুন আপনি, নিরাপদে রাখুন আপনার চারপাশ।

আরও পড়ুনঃ ঈদযাত্রার প্রস্তুতি: গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে খেয়াল করেছেন তো?(প্রথম-পর্ব)

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top