প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি : বাস্তব ভবিষ্যৎ নাকি শুধুই কল্পনা?

স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি চিন্তা করলেই  গাঁ শিরশির করে, তাইনা? মনে হয় এই বুঝি হয়ে গেল কোন অ্যাাক্সিডেন্ট  , এই বুঝি ডানে লাগলো বা বায়ে। তবুও আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আপনি এখন স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি রাস্তায় দেখতে পাবেন। এমনকি কিছু সেলফ ড্রাইভিং কার  আছে যেগুলোতে নেই কোন প্যাডেল! আজকে আমরা এমনি কিছু সেলফ ড্রাইভিং গাড়ির মডেলের ব্যাপারে জানব যে গাড়ির নেই কোন স্টিয়ারিং হুইল , নেই কোন প্যাডেল। ২০১৯ সাল থেকে জেনারেল মোটরস এমনি একটি গাড়ি নিয়ে কাজ করছে , গাড়ির নাম ক্রুস এভি। যদিও ক্রুস এভি প্রথম স্টিয়ারিং বিহিন  গাড়ি নয়, এর আগেও ফিচারগুলো নিয়ে অনেক গাড়ি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। জেনারেল মোটরস সবসময় এমন গাড়ি তৈরি করতে চেয়েছে যেগুলো রাস্তায় বাধামুক্ত চলাচল করতে পারবে । আর তারা কাজ করেছে কীভাবে গাড়ির দুর্ঘটনা কমিয়ে ফেলা যায় তার উপর।  রাস্তায় চলার সময় প্রায় ৯৪ % দুর্ঘটনা ঘটে মানুষের অসাবধানতার কারনে। গাড়ি সঠিকভাবে, সঠিক স্থানে প্রযুক্তি দিয়ে গাড়ি পার্কিং  এবং গতির সমস্যা সমাধানে সেলফ ড্রাইভিং কারগুলো বাজারে নিয়ে আসছে স্টিয়ারিং বিহিন গাড়ি।

কি শান্তির ভ্রমণ !

গাড়ির ভেতর যে ফিচারগুলো থাকবে

অটোমেকাররা সেভরোলেট বোল্টের ভিত্তিতে ক্রুস এভি তৈরি করেছেন। কিন্তু এই গাড়িটি আগের অনেক গাড়ি থেকে অনেক এগিয়ে । ২০১৮ সালে একটি রিপোর্টে জেনারেল মোটর জানায়, কিছু ব্যর্থতার কারনে প্রত্যেকটি সিস্টেম ধাপে ধাপে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই গাড়ির আরেকটি অগ্রিম বৈশিষ্ট হলো , গাড়িতে একটি বাড়তি ব্যাটারি দেওয়া হয় যাতে হঠাৎ কোন বিপদে কাজে লাগে। গাড়ির আরো সংযুক্ত প্রযুক্তি হলো গাড়িতে দুটি তথ্য সংগ্রহ এবং সাইবার নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে।  রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য গাড়িগুলো ভালো কাজ করে। ভোক্তাদেরও এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়।

গাড়ির সীট প্যাটার্ন

গাড়ির কেবিন সিম্যাট্রিক্যাল প্যাটার্নের হয় , যেহেতু তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে একজনের বেশী মানুষের প্রয়োজন হয়না। গাড়িতে বসার জন্য সাধারণ ভাবেই চারটি সীট থাকে।  কিন্তু যেহেতু গাড়িটি সেলফ মোডে চলে কাজেই গাড়ির এই নির্দিষ্ট প্যাটার্নের সীটের কোন প্রয়োজন পড়ে না। টাচ স্ক্রিন ট্যাবলেটের  মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রী গাড়িতে কতক্ষন ভ্রমণ করেছেন তার সময় জানতে পারবেন। এবং প্রত্যেক যাত্রী তার প্রয়োজন মত অথবা জরুরী মুহূর্তে  গাড়ি থামাতে পারবেন, অনেকটা ট্রেনের চেইনের  মত । আবার গাড়িটি নিজেও তার বিপদে একাই থেমে যেতে পারবে সেভাবেই গাড়ির নকশাটি করা।

সীট প্যাটার্ন হতে পারে এরকম

স্ট্যাক প্রেডিকশন আর স্ট্যাক ম্যানুয়্যাভার

স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি জটিল সিদ্ধান্ত নেয়ায় জেনারেল মোটর স্ট্যাক প্রেডিকশন আর স্ট্যাক ম্যানুয়্যাভারের উপর বেশী জোর দেয় । এখন মনে হতে পারে স্ট্যাক প্রেডিকশন আর স্ট্যাক ম্যানুয়্যাভার এগুলো কি ? প্রেডিকশন মানে আমরা মূলত ভবিষ্যৎবাণী করাকে বুঝি। সেলফ ড্রাইভিং গাড়ির ক্ষেত্রে এ ধরনের মেকানিক্যাল প্রেডিকশনের খুব দরকার পড়ে।  স্ট্যাক প্রেডিকশনের একটি উদাহরণ হচ্ছে- একটি গাড়ি বাম দিকে মোড় ঘুরছে আর তখনই কোন পথচারী রাস্তা পার হচ্ছে, তখন স্ট্যাক প্রেডিকশন করে গাড়ি খুব দ্রুত এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তার দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারবে। আর এভাবে দ্রুত কৌশলে সিদ্ধান্ত নেয়াটাই হচ্ছে স্ট্যাক ম্যানুয়্যাভার।

রিয়েল টাইম শেয়ার করবে স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি

সাধারনভাবেই স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি ট্র্যাক করা হয় । আর রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে আগে থেকেই গাড়ি কোন রাস্তা দিয়ে যাবে তার ম্যাপ ঠিক করা থাকে, সেটা তো সবাই জানেন। এভি গাড়িগুলো যখন একসাথে চলবে অর্থাৎ ফ্লিট পদ্ধতিতে চলবে তখন একে অপরের সাথে রিয়েল টাইম শেয়ার করতে পারবে। জেনারেল মোটর এই পদ্ধতিকে ‘ফ্লিট লার্নিং ক্যাপবলিটি’ বলে । উদাহরণস্বরূপ যদি কোন এভি গাড়ি চলার সময় কোন রাস্তা বন্ধ পায় বা রাস্তায় কোন প্রতিবন্ধকতার আভাস পায় তাহলে অন্য এভি গাড়িগুলোকেও সতর্ক বার্তা পাঠিয়ে দেবে। এভি গাড়িগুলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ বার নিজের রাস্তা পরীক্ষা করে নেয় যে, কোন প্রতিবন্ধকতা  আছে কিনা সেটা বোঝার জন্য। আর এই পরীক্ষাগুলো করে নিজেদের ক্যামেরা, সেন্সর আর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।

স্টিয়ারিং বিহীন গাড়িতে থাকবেনা কোন প্যাডেলও

নিরাপত্তা ও অন্যান্য আইন

ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশনের কাছে জেনারেল মোটর একটি আবেদন দায়ের করেছেন  এই মর্মে যে , এভি গাড়িগুলো যেন ২০১৯ সালে রাস্তায় চলতে অনুমতি পায় । কিন্তু জাতীয় ট্রাফিক এবং নিরাপত্তা প্রশাসন ষ্ট্যাণ্ডার্ডের মতে , চলার সময় অবশ্যই একজন চালকের প্রয়োজন । আর যদি চালক না থাকে তাহলে গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান নিজেদের গাড়িকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ দাবি করতে পারে। এভি গাড়িগুলো নিরাপদ হলেও যদি কখনো কোন দুর্ঘটনার কবলে পড়েই যায় তখন সে দায়ভার কার হবে । চিন্তার বিষয় ! যদি আবেদন গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যায় তাহলে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৫,০০ গাড়ি বাজারে নিয়ে আসবে জেনারেল মোটরস ।

জেনারেল মোটরস তৈরি করেছে ক্রুস এভি

স্টিয়ারিং বিহীন গাড়ি নিয়ে অনেক মজার কিছু তথ্য আমরা পেলাম । এরকম আরো মজার তথ্য পেতে চোখ রাখুন প্রহরীর ওয়েব পেইজে এবং ফেসবুক পেইজে।  গাড়িতে ইন্সটল করুন প্রহরী। নিজে নিরাপদে থাকুন আর গাড়ির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে নিন , ধন্যবাদ ।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top