প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

যানজটের-বই-পড়ার-অভ্যাস-গড়ে-তোলার-১০-উপায়
পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

যানজটে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ১০ উপায়!

ঢাকা এমন এক শহর যার অন্য নাম ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় আরেক চেনা রুপ-যানজট। ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯’-এ প্রকাশিত সূচকের তথ্যমতে, বিশ্বের সবচেয়ে যানজট পূর্ণ শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এ শহরে একটি গাড়ি ঘণ্টায় মাত্র পাঁচ কিলোমিটার যেতে পারে। তুমুল এই যানজটে গাড়িতে বসে আপনি কি করবেন? আপনি চাইলে জ্যামে বিরক্ত হয়ে বসে থাকতে পারেন আবার জ্যামে বসে পড়তে পারেন চমৎকার কিছু বই! আপনার জ্যামে বসে হারানো সময় ফিরিয়ে দিতে না পারলেও বই দিতে পারবে অজানা কিছু চমৎকার অভিজ্ঞতা। এই আর্টিকেল আমরা ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানাবো যা আপনাকে যানজটে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে সাহায্য করবে।

মানুষ মাত্রই ব্যস্ততা থাকবে তবুও এই ব্যস্ততার মধ্য হতেও বই পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করে নিতে হবে। একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে, নিজের মূল্যবোধ, সামাজিক ও মানবিক বিকাশের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা সকলেই জানে তবে পড়ার সময় করে উঠতে পারে না এটাই অজুহাত সবার। তবে জেনে রাখুন, বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী বিল গেটস প্রতি সপ্তাহে একটা বই পড়ে শেষ করেন এবং ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ প্রতি দুই সপ্তাহে একটি বই পড়ে শেষ করার টার্গেট রাখেন। বিশ্বের তৃতীয় ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট প্রতিদিন দুইঘন্টা সময় হাতে রাখতেন শুধু বই পড়ার জন্য। আর নেপোলিয়ন তো তার যুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী নিয়েই বের হতেন।

এখন বলুন উপরে উল্লেখিত মানুষগুলোর চেয়েও কী আমাদের ব্যস্ততা বেশি? কখনোই না। তাহলে সমস্যাটা আসলে কোথায়? কেন আমরা বই পড়ার জন্য সময় করে উঠতে পারছি না! এই না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমরা বই পড়াটাকে ততোটা প্রয়োজনীয় কাজ মনে করছি না। যতটা সারাদিন ফেইসবুক, আড্ডা দেয়া, কিংবা শুয়ে বসে থাকাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

একটু চিন্তা করে দেখুন, ২৪ ঘন্টার পুরো সময়টুকু আমরা কীভাবে কাটাই। সে চিন্তা করলেই দেখবেন দিনের অধিকাংশ সময়ই এমন কাজে ব্যবহৃত হয় যেগুলোর আসলে তেমন কোন প্রয়োজনীয়তাই নেই। তবুও আমরা অভ্যাসের দাস হিসেবে সেগুলোতে সময় অপচয় করি। তো এখন থেকেই যদি আপনি আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে বই পড়াটাকে অবশ্যই পালনীয় কাজ হিসেবে যুক্ত করতে পারেন তবে অবশ্যই দেখবেন খুব ভালো একটি অভ্যাস তৈরি করে ফেলেছেন এবং সপ্তাহ শেষে আপনার জানার পরিধি, জ্ঞানের স্তর বেড়ে যাবে বহুগুণ। চলুন ঝটপট জেনে নেই এমন ১০ টি কার্যকরী টিপস যেগুলো অনুসরণ করলে আপনিও যানজটে বই পড়ার অভ্যাস গঠনের মাধ্যমে হয়ে উঠতে পারেন আদর্শ পাঠক-

১. দৈনন্দিন কাজের লিস্টে যুক্ত করে নিন বইপাঠ

আমাদের সবারই আগামীকালের জন্য কর্মসূচী থাকে সেটা হোক লিখিত কিংবা অলিখিত । সেই কর্মসূচীতে অবশ্যই পালনীয় কাজ হোক অতন্ত ১০ পৃষ্ঠা বই পড়ার বাধ্যতামূলক রুল। নিজেকে দেয়া কথা ধরে রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হোন দেখবেন একটা সময় দিনে ১০০ পৃষ্ঠা পড়ে ফেলেছেন খুব সহজেই।

২. সবসময় সাথে বই রাখুন

আমাদের প্রতিনিয়ত অনেক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আর সেই কাজগুলোর ফাঁকে ফাঁকে আমাদের কিছু সময়ের বিরতি থাকে সেই বিরতিও হয়ে উঠতে পারে বই পাঠের আদর্শ সময়। এমনকি ডেইলি জার্নিতেও পড়ে ফেলা যায় অনেকখানি বই। শুধু প্রয়োজন কঠোর প্রতিশ্রুতি এবং অধ্যবসায়। তাই সবসময়ই সাথে থাকুক প্রিয় কোন বই।

৩. বই নির্বাচন

যানজটে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে বই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন বই নির্বাচন করতে হবে যেটা আপনাকে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি নিজের স্কিল বাড়াতে সহায়ক হবে। যেই বই পড়া শুরু করলে শেষ করা অবধি তর সয় না। বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে সেসকল বই-ই হোক আপনার সঙ্গী।

৪. আড্ডার বিষয়বস্তু হোক বই

আমাদের দিনের অনেকটা সময় আড্ডাতে চলে যায়। সেটা হতে পারে বন্ধ-বান্ধব, আত্নীয় স্বজন কিংবা পরিবার। যেখানেই সুযোগ পাবেন নিজের সম্প্রতি পড়ে শেষ করা বই নিয়ে কিছু কথা বলুন। দেখবেন, শ্রোতা যখন আপনার অর্জিত নতুন জ্ঞানী কথাগুলো শুনে অভিভূত হবেন, তখন আপনার বই পড়ার আগ্রহ বেড়ে যাবে বহুগুণ।

৫. প্রচুর বই কিনুন

প্রবাদ আছে- “বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” আসলেই তাই। যখন আপনি নিজের কষ্টের জমানো টাকা খরচ করে বই কিনবেন, তখন সেই টাকা উসুল করার ধান্ধায় বই না পড়ে থাকতে পারবেন না। ব্যস! একসাথে হয়ে গেলো তিন কাজ। টাকাটাও কাজে লাগলো, জ্ঞানও বৃদ্ধি পেলো, তৈরি হতে লাগলো বই পড়ার অভ্যাস।

৬. ডিজিটাল মাধ্যমেও সক্রীয় হোন

প্রযুক্তির উৎকর্ষতা সাধনে আমরা এখন আমাদের মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারেই এক ক্লিকে সংগ্রহ করে ফেলতে পারছি যেকোনো বই। নিজেকে আপগ্রেড করতে শুধু হার্ডকপি নয় সফট কপি বই পড়ার অভ্যাসও গড়ে তুলুন। এতে করে অর্থ, সময়, বই বহন করার ঝামেলাসহ অনেক দিক থেকেই হতে পারবেন লাভবান।

৭. মনকে শক্ত করুন

বই পড়ার মতো সহজ কাজকে মন সবচেয়ে বেশি কঠিন কাজ মনে করে সবসময়ই। তাই দেখবেন, ১০ মিনিট বই পড়তে যে বিরক্তি তৈরি হয়, ঘন্টার পর ঘন্টা মুভি দেখলেও সে বিরক্তি কাজ করে না। তাই বই পড়া শুরু করলে নির্দিষ্ট সংখ্যক পাতা পড়ে শেষ করা অবধি উঠবেন না এমন সংকল্প করে ধৈর্য্য শক্তি বৃদ্ধি করুন।

৮. বুক লিস্ট চেঞ্জ করুন

সবসময় একই জনরার বই পড়া থেকে বিরত থাকুন। উপন্যাস ভালো লাগলে শুধুই উপন্যাস পড়লে বই পড়ার প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসবে। তাই বুক লিস্টে নানা বিষয়ের উপর মাস্টারপিস বইগুলো যুক্ত করুন। তবেই আপনি হয়ে উঠতে পারবেন অলরাউন্ডার। বই পড়ায় একঘেঁয়েমিও থাকবে না, নিশ্চিত।

৯. একাধিক সময় নির্বাচন করুন

একটানা বই পড়তে যাবেন না। পুরো দিনকে প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা সময়ে অল্প অল্প করে বই পড়ুন। যেমন- ঘুম ভাঙার পর উঠার আগ পর্যন্ত শুয়ে শুয়ে বই পড়ুন। জার্নিতে বই পড়ুন। ঘুমানোর পূর্বে শুয়ে শুয়ে বই পড়ুন।

১০. যানজটে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে সপ্তাহে অন্তত একটি বই

নিজেকে নিজে কথা দিন, সপ্তাহে অন্তত একটি বই পড়ে শেষ করবেন। যদি না পারেন তবে নিজেকে শাস্তি দিন। তারপরও নিজেকে দেয়া কথা রাখতে শিখুন। বই পড়ুন। অত্যাবশকীয় ভেবেই বই পড়ুন।

শখের গাড়ির সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি ভেহিক্যাল ট্র্যাকার সার্ভিস (VTS) ডিভাইস যা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে পাই ল্যাবস বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রহরী – ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেমে রয়েছে অ্যাপের মাধ্যমে ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, গাড়ির লাইভ ট্র্যাকিং আপডেট দেখা, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন প্রহরী প্যাকেজ সমূহ।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top