প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

গাড়ি নিয়ে বের হবেন? দেখে নিন সাতটি টিপস!

নিত্যদিনের চলাচলের জন্য গাড়ির ব্যবহার অপরিহার্য। গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে কিংবা ড্রাইভ করার সময়ে সবকিছু খেয়াল করে চলেন তো? নিশ্চয়ই করেন। তবে কিছু অত্যাবশ্যক বিষয় আছে যেক্ষেত্রে সবসময়ই মনোযোগ দেয়া দরকার। সবসময় চারপাশের সবকিছু খেয়াল করে সতর্ক না হয়ে চললে, যেকোন সময়ই বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই সবসময় সবক্ষেত্রে সচেতন হয়ে চলা উচিত। আপনার একটুখানি আগাম প্রস্তুতি আর সতর্কতার দরুন যেকোন দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যেতে পারবেন। আসুন গাড়ি নিয়ে চলার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার তা জেনে নিই।

গাড়ির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন

আপনার গাড়ির ফিটনেস ঠিক আছে তো? যদি ঠিক না থাকে, তবে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগেই পরীক্ষা করে দেখুন গাড়ির সবকিছু সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, ফুয়েল লাগবে কিনা, চাকায় হাওয়া আছে কিনা ইত্যাদি। আর নিয়মিত ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখতে চেষ্টা করুন। এছাড়াও গাড়ির হেডলাইট, ব্যাকলাইট নষ্ট হলে তা পরিবর্তন না করে, রাস্তায় নামাটা উচিত নয়। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে কোনরূপ ত্রুটি বা সমস্যা থাকলে, তা ঠিক করার উদ্যোগ নিন।

সাবধানে গ্যারেজ থেকে বের হোন

সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই ধীরে সুস্থে গাড়ি নিয়ে বের হন। অনেক সময় গ্যারেজ থেকে বের হওয়ার সময় অসতর্কতার দরুন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দেখা যায় গেটে বা দেয়ালে ধাক্কা লাগে কিংবা ঘুরানোর সময় সামনে মানুষ এসে যায় ইত্যাদি। তাই এই সব দিক বিবেচনা করে সতর্ক থাকুন। গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় আশে পাশে ভালভাবে লক্ষ্য রাখুন। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় ড্রাইভিং করার সময় অধিক সতর্ক থাকুন। কারণ গলির মুখে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারে, তাই দেখে শুনে চলতে চেষ্টা করুন।

খোঁজ খবর নিয়ে চলুন

প্রাকৃতিক কিংবা মানব সৃষ্ট দুর্যোগের সময় অনেক বেশি সতর্ক হয়ে পথচলা উচিত। আপনি যে পথে যাবেন, সেখানকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে চলুন। রোড সংস্কার কিংবা অন্য কোন কারণে কোন টাইপের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় কিনা, তাও অনুমান করে চলতে চেষ্টা করুন। অনেকসময় দেখা যায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়ক চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে পারলে আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে আগান। আর তা না হলে আপনার অযথাই সময়ক্ষেপণ হবে।

স্পীড লিমিট নির্ধারণ করুন

সবসময় মাথায় রাখুন, রাস্থায় বের হয়ে জ্যাম কিংবা অন্য কোন কারণে দেরি হতে পারে। তাই, আগে থেকেই হাতে সময় নিয়ে বের হতে চেষ্টা করুন। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তাড়াহুড়া করে, দ্রুত গতিতে গাড়ি না চালিয়ে বরং ধীরে-সুস্থে নির্দিষ্ট মাত্রায় চালান। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়িতে একটি সুনির্দিষ্ট স্পীড লিমিট সেট করে রাখুন। যদি কোনভাবে তা অতিক্রম করে ফেলেন, তবে প্রহরীর স্পীড ভায়োলেশন ফিচারটির মাধ্যমে তা জানতে পারবেনপ্রহরী ভিটিএস ইউজারদের গাড়ি নিয়ে তেমন কোন টেনশনই করতে হয় না, কারণ প্রহরী নিজ দায়িত্বে সব দুশ্চিন্তা নিজ কাঁধে তুলে নেয়।  

ট্র্যাফিক জ্যামের মাঝেও সতর্ক থাকুন

গাড়ি নিয়ে রাস্থায় বের হয়েছেন, কিছুদূর যাওয়ার পরেই জ্যামের দীর্ঘ লাইন দেখে থেমে যেতে হলো। ভাবলেন এই বিশাল জ্যাম ছাড়তে তো অনেক সময় লাগবে, সুতরাং অধিক সতর্কতার কী দরকার! আর এই অসতর্কতার দরুন আপনি মারাত্মক ভুল করে বসলেন। কারণ যানজটের মাঝেও দুর্ঘটনা ঘটার অনেক সম্ভাবনা থাকে। দেখা যাবে হয়তো যেকোন সময় জ্যাম ছেড়ে যেতে পারে এবং পিছনের গাড়ি এগিয়ে আসতে পারে। তাই, নিরাপদে থাকতে চাইলে যানজটের মাঝেও সতর্ক থাকুন। খেয়াল রাখুন জ্যাম ছেড়ে গেলে যেন হঠাৎ করে অপ্রস্তুত হয়ে, সামনের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে না বসেন। সামনের গাড়ি থেকে অন্তত তিন সেকেন্ডের দূরত্ব বজায় রেখে চলতে ট্রাই করুন।

বার বার লেন পরিবর্তন করবেন না

আমাদের সবসময় ট্র্যাফিক রুলস মেনে গাড়ি চালানো উচিত। এছাড়াও হাইওয়েতে ড্রাইভিং করার সময় নির্দিষ্ট লেন ধরে চলুন এবং বার বার লেন পরিবর্তন করবেন না। বিশেষ করে প্রধান মহাসড়কের কেন্দ্রবিন্দু বা মোড়ে কখনোই লেন পরিবর্তন করবেন না। এর আগে থেকেই লেন পরিবর্তন করে চলুন কারণ ইন্টারসেকশনের মধ্যে লেন পরিবর্তন করতে গেলে, জ্যাম বেঁধে যাওয়ার কিংবা দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। ড্রাইভ করার সময় আশেপাশের গাড়িকে স্পেস দিয়ে চলতে চেষ্টা করুন। একটুখানি আগাম সতর্কতা আপনাকে যেকোন ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটার হাত থেকে রক্ষা করবে।  তাই, সবসময় সবক্ষেত্রে সাবধান হয়ে চলতে চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সাবধানে গাড়ি পার্ক করুন 

আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর পর, সাবধানে কার পার্ক করতে চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন যেসব জায়গায় নো পার্কিং সাইন দেওয়া আছে, সেখানে পার্ক করবেন না। এই সময় আশেপাশে নজর রেখে অন্য গাড়িকে স্পেস দিয়ে নির্ধারিত প্লেসে পার্ক করুন। পার্কিং লটে ঢোকার কিংবা বের হওয়ার সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকুন, যাতে কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে যায়।

জানমালের নিরাপত্তার জন্য যদি আগে থেকেই অধিক সতর্কতা অবলম্বন করে চলেন, তবে দেখবেন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেকাংশেই রোধ হবে। আর যেসব ক্ষেত্রে সবারই নিরাপত্তার দিকটা মুখ্য থাকে, সেসব ক্ষেত্রে সবকিছু খেয়াল করে ভেবেচিন্তে পথ চলতে চেষ্টা করা উচিত। প্রহরীর পক্ষ থেকে শুভাশিস রইল, প্রিয় গাড়িটি নিয়ে নিরাপদ হোক আপনার পথচলা

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top