প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

এই ৮টি দিক ভেবে গাড়ি পার্ক করলে বিপদে পড়বেন না!

আপনাদের যাদের গাড়ি আছে, তারা নিশ্চয়ই মাঝে মধ্যে পার্কিং নিয়ে একটু সংশয়ে থাকেন, তাইনা? আসলে আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় তেমন ভাবে পার্কিং লট গড়ে উঠেনি। এছাড়াও সুনিয়ন্ত্রিত পার্কিং রুলস কিংবা জায়গার অভাবে এই ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা তৈরি হচ্ছে। অনেক অসচেতন গাড়ি চালকই যত্রতত্র ভাবে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক করে রাখেন। যার ফলে রাস্তায় জ্যাম বেঁধে যায় কিংবা অপ্রীতিকর দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। কিন্তু পার্কিং করার সময় অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত। সবার নিরাপত্তা এবং প্রিয় গাড়িটির সুরক্ষার কথা চিন্তা করে, পার্ক করার সময় কিছু বিষয় মেনে চলতে চেষ্টা করুন। দেখবেন তাহলে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা কিংবা গাড়ি চুরি যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। নিরাপদে গাড়ি পার্ক করতে হলে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার তা একটু দেখে নিই।

নির্দিষ্ট স্থানে পার্ক করুন

নিয়ম-কানুন মেনে নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্ক করা উচিত। পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা দেখেই গাড়ি রাখুন। সার্বক্ষণিক সিকিউরিটি গার্ড আছে এমন কোন স্থাপনা, যেমন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, কর্পোরেট অফিস, এটিএম বুথ ইত্যাদির সামনের নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি রাখুন। এছাড়াও অনেক শপিং মলে কিংবা মার্কেটের গ্যারেজে গাড়ি পার্ক করার সুব্যবস্থা আছে, সেসব জায়গায় গাড়ি পার্ক করুন। অসচেতনভাবে ব্যস্ত রাস্থায় কিংবা ফুটপাতে গাড়ি পার্ক করে রাস্থা ব্লক করবেন না। এর ফলে যানজট বেঁধে যাবে এবং সবারই অসুবিধা হবে। এছাড়াও যেসব জায়গায় ‘নো পার্কিং’ সাইন দেওয়া আছে, সেখানে কখনোই পার্ক করবেন না।

নির্জন কোন স্থানে পার্ক করবেন না

সবসময় নিরাপদে থাকতে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে চেষ্টা করুন। নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি পার্ক করতে চেষ্টা করুন। যেসব স্থানে পার্ক করা নিষেধ, সেখানে গাড়ি রাখবেন না। আপনার নিজের গাড়ি, আশেপাশের গাড়ি, সর্বোপরি পথচারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পার্ক করুন। কার পার্ক করার সময় আশেপাশের সব কিছু ভালভাবে লক্ষ্য রেখে পার্ক করুন। বিশেষ করে কোন নির্জন স্থানে গাড়ি পার্ক করবেন না। জনসমাগম পূর্ণ এলাকায় যেখানে অন্য গাড়ি পার্ক করা আছে, এমন স্থানে পার্ক করতে ট্রাই করুন। অন্ধকার নিরিবিলি জায়গায় গাড়ি চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে, তাই এসব স্থান এড়িয়ে চলাই ভাল। মূলত রাতের বেলা কার পার্ক করার সময় আলোকিত জায়গা খুঁজে বের করুন। এক্ষেত্রে কোনও পার্কিং লট কিংবা নিজের গন্তব্যের কাছাকাছি কোথাও গাড়ি রাখুন।

গাড়ি সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে চেষ্টা করুন

গাড়ি কোন স্থানে এমন ভাবে পার্ক করুন যেন তা দেখা যায়। অনেক গ্যারেজ অথবা পার্কিং লটে সিকিউরিটি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে। এটা নিশ্চিত করুন যে, আপনার গাড়ি ক্যামেরাতে ভালোমতো আসে। কোন বড় ট্রাক বা গাড়ির পাশে রাখলে গাড়ি ক্যামেরাতে সেভাবে নাও আসতে পারে, তাই বুঝে শুনে রাখুন। এছাড়াও গাড়ির নিরাপত্তার ভার সম্পূর্ণ নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিতে ভিটিএস প্রযুক্তির সাহায্য নিন। প্রহরী ভিটিএসের লাইভ ট্র্যাকিং ফিচারের মাধ্যমে গাড়ির লোকেশন তাৎক্ষণিক ভাবে জেনে নিতে পারবেন।

পার্কিংয়ের সময় সাবধান থাকুন

গাড়ি পার্কিং লটে রাখার সময় সাবধান থাকুন। মনোযোগের সাথে চারপাশে লক্ষ্য রেখে, ধীরে ধীরে ড্রাইভ করে গাড়ি  পার্ক করুন। যদি হঠাৎ করে গাড়ি থামাতে হয়, সেক্ষেত্রেও প্রস্তুত থাকুন। যেকোন সময় অন্য কোনও গাড়ি অথবা মানুষজন সামনে চলে আসতে পারে। সুতরাং সদা সতর্ক থাকতে চেষ্টা করুন। শেষ সারির দিকে গাড়ি পার্ক না করতে পারলেই বরং ভাল হয়। কারণ সারির শেষদিকে থাকলে অন্য গাড়ির ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে।

চাপাচাপি করে গাড়ি পার্ক করবেন না

সবসময় পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে গাড়ি পার্ক করতে চেষ্টা করুন। এই সময় মোবাইলে অথবা পাশের সীটের কারো সাথে কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকুন। প্রশস্ত জায়গার মধ্যে গাড়ি রাখতে পারলে ভাল হয়। অল্প জায়গার মধ্যে চাপাচাপি করে পার্ক করলে, আপনার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেখানে কমপক্ষে দুই দিকে দুই ফুট জায়গা আছে, সেই রকম জায়গায় গাড়ি রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।

নির্দিষ্ট লাইনে গাড়ি রাখতে চেষ্টা করুন

পার্ক করার সময় নির্দিষ্ট লাইনের মাঝামাঝি গাড়ি রাখতে চেষ্টা করুন। তবে গাড়ির সাইজ বড় হলে, আরও জায়গা নিয়ে পার্ক করুন। আর পার্ক করার পর গাড়ির দরজা সাবধানে খুলবেন, যাতে অন্য গাড়িতে ধাক্কা না লাগে। বর্তমানে কার পার্ক করার ক্ষেত্রে অনেক নিত্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু উন্নত মানের গাড়িতে  ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং  সিস্টেম, ইনটেলিজেন্ট পার্কিং সিস্টেম, রিভার্স মনিটরিং সিস্টেম ইত্যাদি সুবিধা আছে। মূলত এগুলো গাড়ি পার্ক করা  এবং বের করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে।

চুরি প্রতিরোধে সতর্ক থাকুন

গাড়ি থেকে নেমে যাবার সময় ডোর ভালভাবে লক করতে ভুলবেন না। এছাড়াও ভিতরে কোন দামি জিনিসপত্রও রেখে যাবেন না। এতে চোর সহজেই আকৃষ্ট হয়ে সেটা নিতে গিয়ে, হয়তো আপনার গাড়িটি নিয়েই ভেগে যাবে। যদি আপনি গাড়িতে প্রহরী ভিটিএস ইউজ করে থাকেন, তাহলে আর গাড়ি নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করতে হবে নাকারণ প্রহরীর আকর্ষণীয় ফিচারসমূহ আপনার গাড়ির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করবে

গাড়ি সাবধানে বের করুন

পার্কিং লট থেকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করুন। আশেপাশে ভালভাবে নজর বুলিয়ে নিন। তারপর ধীরে ধীরে সাবধানে গাড়ি ঘুরিয়ে বের হোন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, যেন অন্য কোন গাড়ি বা মানুষকে ধাক্কা  দিয়ে না ফেলেন। আর সেজন্য রাস্তার দিকে দৃষ্টি রেখে গাড়ি বের করুন এবং ভালভাবে সিগন্যাল ইউজ করুন। এই  সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে সুতরাং সতর্কতার সাথে ড্রাইভ করে নিরাপদে বেরিয়ে পড়তে চেষ্টা করুন।

সবসময় সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে সতর্কতার সাথে গাড়ি পার্ক করতে চেষ্টা করুন। একটুখানি অসাবধানতার দরুন বড় কোন দুর্ঘটনা, গাড়ির ক্ষতি কিংবা চুরির মুখোমুখিও হতে পারেন। তাই জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে সজাগ থাকুন এবং অধিক সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন। আপনার কষ্টার্জিত অর্থে কেনা গাড়িটি সুরক্ষিত রাখতে সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিন। আপনার এবং অন্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, নিজে সচেতন হোন এবং অন্যদেরকেও সচেতন করুন।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top