প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

নিজেই হোন Fuel Saver, টিপস দিচ্ছে Prohori Vehicle Tracker

বাঁচান ফুয়েল, কমান খরচ

ফুয়েলের দাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধির ফলে গাড়ি-ক্রেতাদের সিদ্ধান্তে আসছে পরিবর্তন। গাড়ি কিনতে গিয়ে ক্রেতারা এখন এসি, হুইল ড্রাইভ, ইঞ্জিন, Vehicle Tracker ইত্যাদি ফিচারের পাশাপাশি দেখছেন, গাড়িটির ফুয়েল-এফিশিয়েন্সি কতখানি। কিন্তু ফুয়েল এফিশিয়েন্সি কি শুধু গাড়ির উপর নির্ভর করবে? না! সেটা ব্যবহারকারীর নিয়ম-নীতি এবং সচেতনতার ওপরেও নির্ভর করবে অনেকখানি। কিছু বিষয়ে চোখ-কান খোলা রাখলে আপনি নিজেই হয়ে যেতে পারেন আপনার গাড়ির ফুয়েল-সেভার। কী কী হতে পারে সেগুলো?

 

১। সহজভাবে গাড়ি চালানোঃ

এক্সেলারেটর এবং ব্রেক নিয়ে খেলা করে আপনি হয়তো খুবই মজা পান। তাই কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ কিংবা সজোরে ব্রেক করেন। একটা নায়কোচিত অনুভূতি খেলা করে মনে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এইভাবে আপনার অজান্তেই গাড়ির ফুয়েল-এফিশিয়েন্সির বারোটা বেজে যাচ্ছে। গাড়ি বিষয়ক শাস্ত্র এবং গবেষনা বলে, ব্রেক এবং এক্সেলারেটরের ক্ষেত্রে রুক্ষতা যতটা সম্ভব পরিহার করুন। যতটা সম্ভব মসৃণভাবে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করুন। সবকিছু তো আর Vehicle Tracker করে দেবে না!

 

২। অতিমাত্রায় ভার বহন না করাঃ

 দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সঙ্গে আপনি হয়তো অপ্রয়োজনীয় কতকিছু নিয়ে নিচ্ছেন, নিজেও বুঝতে পারছেন না। একগাদা বাক্স-পেঁটরা, লট-বহর দিয়ে  গাড়ি বোঝাই করে ফেলছেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, অতিরিক্ত ভার ফুয়েল অপব্যয়ের জন্য অনেকখানিই দায়ী। তাই প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাদে অন্য সব জিনিস গাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন।

 

৩। ইঞ্জিন চালু রেখে গাড়ি দাঁড় করে না রাখাঃ

ট্রাফিক জ্যামে অলস সময় কাটানোর সময়ও গাড়ির ইঞ্জিন চালু করে রাখার একটা নেতিবাচক অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যেই। দ্রুত ফুয়েল ফুরিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ হচ্ছে ইঞ্জিনকে এভাবে চালু করে ফেলে রাখা। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্তত ৬০ সেকেন্ডের জন্য ইঞ্জিন বন্ধ রাখলেও ফুয়েল বেঁচে যায় অনেকখানি। অনেক Vehicle Tracker ঘণ্টা প্রতি গাড়ির ফুয়েল-ক্ষয়ের ডাটা সংরক্ষণ করে, তাতে আপনি ফুয়েল-ক্ষয়ের হারটা জেনে সতর্ক হতে পারবেন, কিন্তু ফুয়েল অপচয় রোধ করার প্রধান ভূমিকা তো আপনারই। তাই অলস সময়ে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখাই ফুয়েল অপচয় রোধের সর্বোত্তম পন্থা।

 

৪। গাড়ি ড্রাইভিং-এর সঠিক অভ্যাস রপ্ত করাঃ

পরীক্ষামূলক গবেষণায় দেখা গেছে, সকল নিয়ম-কানুন মেনে যারা ভালো ড্রাইভিং করেন, তারা অন্যদের চেয়ে অন্তত ১০ ভাগ বেশি ফুয়েল সেইভ করতে পারেন। অসতর্কতামূলক ড্রাইভিং-এর ফলে ১০০০ কিলোমিটারে ২৫০ লিটারের জায়গায় ২৮০ লিটার ফুয়েল হারাতে পারেন আপনি। তাই সবারই গাড়ি ড্রাইভ করার সঠিক অভ্যাস রপ্ত করা উচিত।

 

৫। প্রয়োজন মাফিক গাড়ি সার্ভিসিং-এ গাফিলতি না করাঃ

স্পার্ক প্লাগ, এয়ার ফিল্টার, অক্সিজেন সেন্সর, ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম- এ পার্টসগুলো থেকে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন ইস্যুর কারণে গাড়ির মাইলেজ সিস্টেম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। ইস্যুগুলোর একটা সমন্বিত প্রভাব হতে পারে অতিমাত্রায় ফুয়েল-ক্ষয়ের একটা বড় কারণ। তাই এই পার্টসগুলোতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে কোনরকম গাফিলতি না করে গাড়ির যথাযথ সার্ভিসিং নিশ্চিত করতে হবে।

 

৬। AC ব্যবহারে সতর্ক থাকাঃ

প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পেলে গাড়ির এসি চালু তো করতেই হবে, কিন্তু যতটা সম্ভব সেটা স্বাভাবিক অবস্থায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। কেননা- টেনে গাড়ি চালানোর সময় এসি অন করা থাকলে ইঞ্জিনে কিছুটা চাপ পড়ে, আর তা ফুয়েল-ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। অপ্রয়োজনের সময় এসি যেন অফ থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। হয়তো আপনার অনুপস্থিতিতে কেউ বিষয়গুলোর প্রতি খুব একটা নজর রাখছে না। অদরকারে এসি অন করে বসে আছে। সেক্ষেত্রে আপনি vehicle tracker ব্যবহার করে সহজেই তা জানতে পারবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করে দিতে পারবেন।

 

৭। এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখা বা পরিবর্তন করাঃ

এয়ার ফিল্টার নোংরা হয়ে গেলে, সচল থাকার জন্য ইঞ্জিনটাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি কষ্ট করতে হয়। ফলাফল- নিম্ন মানের ফুয়েল ইকোনমি। তাই যথাযথভাবে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে বা দরকার হলে বদলাতে হবে। গাড়ি কেনার সময় যে ম্যানুয়াল দেয়া হয়, সেখানে গাড়ি মেইনটেন্যান্সের নানান নিয়ম-নীতি লেখা থাকে। এয়ার ফিল্টারের ক্ষেত্রে আপনি সেসব নিয়ম অনুসরণ করছেন কিনা ম্যানুয়াল দেখে নিশ্চিত হোন।

 

৮। হাই স্পিডে গাড়ি চালানোর সময় জানালা বন্ধ রাখাঃ

হাই স্পিডে গাড়ি চালানোর সময় জানালা বন্ধ করে গাড়ি চালানোর অভ্যাস করতে পারা ফুয়েল এফিশিয়েন্সির জন্য ইতিবাচক একটি বিষয়। কারণ- হাই স্পিডের সময় জানালা খোলা রাখার ফলে বায়ুর যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাতে ফুয়েল ক্ষয়ের সম্ভাবনা থাকে। আর আপনি কত স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছেন, বা আগেই যদি নির্দিষ্ট স্পিড সেট করে দেন, সেটা লঙ্ঘন করলে vehicle tracker আপনাকে এই সংক্রান্ত নোটিফিকেশন দিয়ে জানান দিয়ে দেবে।

 

৯। সিনথেটিক অয়েলের ব্যবহারঃ

সিনথেটিক অয়েল ব্যবহারে ফুয়েল ক্ষয় রোধ হতে পারে। কেননা- কম ঘনত্বের তেল ব্যবহারের ফলে আপনার গাড়ির ইঞ্জিনকে কম পরিশ্রম করতে হয়। ফলে ফুয়েল ক্ষয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

 

 

১০। টায়ার ইনফ্ল্যাশন ঠিক রাখাঃ

টায়ারের সঠিক ইনফ্ল্যাশন সেট করার মধ্য দিয়ে আপনি নিজেই ফুয়েল ক্ষয় রোধ করতে পারেন ৩% এর কাছাকাছি। প্রতি মাসে একবার করে টায়ার প্রেশার চেক করা আবশ্যক; আরও ঠিক করে বললে প্রতি সপ্তাহে। Vehicle Tracker ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি গাড়ির এই সমস্ত ভালো-মন্দের নানা তথ্য পাবেন।

 

আরও দেখুনঃ সেরা দশ ব্যয়বহুল ফ্যামিলি কার

ফুয়েল ক্ষয় রোধের আরও টিপস পাবেন এখানেঃ https://beta.theglobeandmail.com/globe-drive/culture/commuting/20-ways-to-improve-your-cars-fuel-efficiency

 

তথ্যসূত্রঃ WikiHow, Youtube

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top