প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 5 মিনিট

২০১৯ সালে যেসব বিলাসবহুল গাড়ি বাজার মাতাবে গতির ঝড়ে!

মানুষ তার প্রয়োজন মেটানোর পর সক্ষমতা অনুসারে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে থাকে। গাড়ি প্রেমীদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি সত্য। আর গাড়ির কথা যখন সামনে আসে; তখন স্বভাবতই গাড়ির গতি, উন্নত ইঞ্জিন এবং মন ছুয়ে যাওয়া ডিজাইনের বিলাসবহুল গাড়ির ছবিই যেন চোখে ভাসে।  আর বিখ্যাত গাড়ি কোম্পানিগুলোও মানুষের নিয়মিত প্রয়োজনের গাড়ি উৎপাদনের পাশাপাশি, বিলাসবহুল গাড়িও উৎপাদন করে থাকে। ২০১৯ শুরু হয়েছে, তাই গাড়ি প্রেমীদের চোখ এখন গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর দিকে। কোন কোম্পানি কোন কোন বিলসবহুল গাড়ি আনতে যাচ্ছে এই বছর তা নিয়ে চলছে গল্প এবং অপেক্ষা। তবে দেখে নেয়া যাক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর ঘোষণা অনুসারে এই বছরের সেরা বিলাসবহুল গাড়ি কোনগুলো ।

ল্যাম্বরগিনি অ্যাডভান্টর এসভিজে

ল্যাম্বরগিনির স্বভাবসুলভ চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো ডিজাইন নিয়ে এই বছর হাজির হতে যাচ্ছে ল্যাম্বরগিনি অ্যাডভান্টার এসভিজি। এই গাড়িতে যুক্ত হয়েছে কাটিং এজ প্রযুক্তি। আছে অ্যারোডায়নামিক সিস্টেম। যা গাড়িকে দিবে এক ভিন্ন এক মাত্রা। গাড়ির চারটি চাকায় রয়েছে একটিভ সাসপেনশন সিস্টেম। চারটি চাকাই নিয়ন্ত্রণ কয়ার যাবে ইস্টিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে। ৭৫৯ হর্স পাওয়ার সমৃদ্ধ এই গাড়িটির ইঞ্জিনে রয়েছে ৭২০ নিউটন টর্ক ক্যাপাবিলিটি। প্রযুক্তি এবং প্রকৌশলের সংমিশ্রণে তৈরি গাড়িটি দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে।

ল্যাম্বরগিনি অ্যাডভান্টর এসভিজে

বিএমডাব্লিউ আই এইট

এই গাড়ি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে চলেছে নানান জল্পনা কল্পনা। যদিও এই গাড়ির ধারণা সবার আগে বাজারে এসেছিল ২০১২ সালে, কিন্তু ৬ বছর পর, গত বছর গাড়িটি টেস্ট ড্রাইভের জন্য ছাড়া হয়েছিল। বিএমডাব্লিউ’র এই গাড়িতে ইলেকট্রিক মোটরের সাথে যুক্ত করা হয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। গাড়িটির গতি ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘন্টা উঠতে সময় নেবে মাত্র ৪.৫ সেকেন্ড। এক দিক দিয়ে গতিময় গাড়ি, চোখ ধাঁধানো ডিজাইন আরেক দিকে গাড়িটি পরিবেশবান্ধবও বটে। এই গাড়ির কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণের হার প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৪৬ গ্রাম। গতি নিয়ে কোন সংশয় আর থাকবে না, কারণে গাড়িটর গতি ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। বিএমডাব্লিউর বিলাসবহুল গাড়ি আই এইট কিনতে খরচ পড়বে প্তায় দেড় লক্ষ মার্কিন ডলার।

বিএমডাব্লিউ আই এইট

ফেরারি ৪৪৮ পিস্তা স্পাইডার

গাড়ির জগতে অনন্য একটি নাম ফেরারি। বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাণেও তাদের ইতিহাস অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী। ২০১৯ সালে ফেরারির যে গাড়িটি বাজারে গতির ঝড় তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে সেটি হল, ফেরারি ৪৪৮ পিস্তা স্পাইডার। গত তিন বছর সেরা ইঞ্জিনের মুকুট জিতে নেয়া ভি-৮ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এই গাড়িতে। ইতালিয়ান প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির অন্যতম একটি আবিষ্কার এই গাড়িটি। গাড়িটির গতিবেগ শুন্য থেকে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার উঠতে সময় লাগে মাত্র ২.৮৫ সেকেন্ড, এবং ২০০ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিতে উঠতে সময় লাগে মাত্র ৮ সেকেন্ড। ইঞ্জিন চালু করলেই আপনি উড়ন্ত পাখির অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারবেন। গাড়িটি পরিবেশবান্ধব। প্রতি কিলোমিটারে কারণ ন্সরনের পরিমাণ ২২৬ গ্রাম।

ফেরারি ৪৪৮ পিস্তা স্পাইডার

টেসলা রোডস্টার

গাড়ির জগতে একটি অভাবনীয় সংযোজন হচ্ছে ইলেকট্রিক কার। আর ইলেকট্রিক কারের জগতে সবচাইতে সেরা হচ্ছে টেসলা। ইলেকট্রিক কারের পুনুরুত্থানে টেসলা অগ্রপথিক। এই বছর বাজারে আসতে যাচ্ছে টেসলার বিলাসবহুল গাড়ি টেসলা রোডস্টার। ০ থেকে ৯৬ কিলোমিটার/ঘন্টা গতি তুলতে এই গারিতির সময় নেয় মাত্র ১.৯ সেকেন্ড। মনে করা হচ্ছে এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি উঠতে পারে ৪০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সুতরাং এই কথা অনুমেয় যে, রাস্তায় গতিদানব হিসেবে নিজের জায়গা শক্ত করে নিতেই অন্যান্য গতিময় গাড়ির সাথে বেশ ভালই লড়াই করবে গাড়িটি। টেসলার রোডস্টারে থাকছে শক্তিশালি ব্যাটারি। যা একবার চার্জ দিলে প্রায় সাড়ে ছয়শত কিলোমিটার চলতে পারে। টাচ স্ক্রিন, ন্যাভিগেশন, অটো ড্রাইভিং সহ গাড়িটি গতিময় তো বটেই, বিলাসবহুলও।

টেসলা রোডস্টার

ম্যাকলারেন স্পিডটেইল

এখন পর্যন্ত ম্যাকলারেন যত গাড়ি তৈরি করেছে, তার মধ্যে সবচাইতে দ্রুতগতির গাড়ি হচ্ছে ম্যাকলারেন স্পিডটেইল। গাড়িটি ০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার/ঘন্টা গতি তুলতে সময় নেয় মাত্র ১২.৮ সেকেড। গাড়িতে রয়েছে ১০৫০ ব্রেক হর্স পাওয়ারের একটি হাইব্রিড ইঞ্জিন। ম্যাকলারেন স্পিডটেইল এই কোম্পানির প্রথম হাইপার-জিটি গাড়ি। বিলাসবহুল তো বটেই, নজরকাড়া ডিজাইনের অধিকারী এই মডেলটির মোট ১০৬ টি গাড়ি তৈরি করেছে ম্যকলারেন। যার সবকটিই বিক্রি হয়ে গেছে।

ম্যাকলারেন স্পিডটেইল

গাড়িটির একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এতে রয়েছে তিনটি আসন। পেছনে দুটি এবং চালকের আসন রয়েছে সামনের অংশে একেবারে মাঝের দিকে। এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ৪০৩ কিলোমটার/ঘন্টা।

পোর্শে টায়কান

নামের মাঝেই এই গাড়ির সবচাইতে বড় পরিচয়। টায়কান শব্দের অর্থ হচ্ছে উদ্যম ঘোড়া। গাড়িটির ডিজাইন দেখলেও মনে হবে যেন সাদা একটি বিলাসী ঘোড়ার মত। মিশন-ই স্লোগানকে সঙ্গী করে বাজারে আসা পোর্শে টায়কান সম্পূর্ণ একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার। গারিটিতে থাকছে দুটি ইলেকট্রিক ব্যাটারি। মোট ৬০০ হর্সপাওয়ারের এই গাড়িটি ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে। ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘন্টা এবং ২০০ কিমি/ঘন্টা গতি তুলতে গাড়িটির সময় লাগবে যথাক্রমে ৩.৫ সেকেন্ড এবং ১২ সেকেন্ড। গাড়িটি ৫০০ কিমি রেঞ্জের এবং এর ব্যাটারি এতই কার্যকরী যে মাত্র ৪ মিনিট চার্জ দিলেই গাড়িটি ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার শক্তির জোগান পায়। ইলেকট্রিক গাড়ির দুনিয়ায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে বেশ আটঘাট বেধেই নেমেছে পোর্শে। এই গাড়িটিই তার উদাহরণ।

পোর্শে টায়কান

বেন্টলি কন্টিনেন্টাল জিটি

নজরকাড়া ডিজাইনের সাথে আভিজাত্য। এই দুই মিলিয়ে বেন্টলির ইংল্যান্ডের কারখানায় তৈরি হয়েছে এই গাড়িটি। দীর্ঘ যাত্রায় উন্মুক্ত পরিবেশের সংস্পর্শে থাকার জন্য গাড়ির ছাদ খোলার ব্যবস্থাও রয়েছে। গাড়ির ছাদ খুলতে সময় নেয় মাত্র ১৯ সেকেন্ড। এমনকি ৫০ কিলোমিটার/ঘন্টা বেগে গতিশীল থাকার সময়ও এই গাড়ির ছাদ খুলে ফেলা যায়! গাড়িতে রয়েছে ১২ সিলিন্ডারের ৬ লিটার ইঞ্জিন। নিখুত গিয়ার পরিবর্তনের জন্য ৮ টি ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন সিস্টেম। সর্বোচ্চ ৩৩৩ কিলোমিটার/ঘন্টা গতি তুলতে পারা এই গাড়িটি ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘন্টা গতি তুলতে সময় এন্য মাত্র ৩.৮ সেকেন্ড। এই গাড়িটি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারকারীদের অন্যতম পছন্দের হয়ে উঠতে পারে কারণ, চাইলেই কাস্টমাইজ উপায়ে অর্ডার করে গাড়িটি সাজিয়ে নিতে পারবেন একজন ক্রেতা।

বেন্টলি কন্টিনেন্টাল জিটি

গাড়ি কখনো কখনো নিত্য প্রয়োজনীয়, আবার কখনো বিলাসবহুল জীবনের শখ। যখন যেভাবেই ব্যবহার হোক না কেন, গাড়ির নিরাপত্তার কথা কিন্তু সব ধরণের গাড়ি ব্যবহারকারীই ভেবে থাকেন। কিন্তু কে রাখবে গাড়িকে নিরাপদ? কীভাবে নিশ্চিত হবে গাড়ির নিরাপত্তা? আপনি জানেন কি গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন বাংলাদেশেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ভেইকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রহরী । প্রহরীর মাধ্যমে আপনি আপনার পকেটের মোবাইলে বা অফিসের কম্পিউটারে বসেই দেখতে পারবেন গাড়ির প্রায় সব ধরণের গতিবিধি। কোথায় যাচ্ছে, কখন যাচ্ছে, এসি চলছে কিনা, নাকি বন্ধ, কখন কোন গেট খোলা হচ্ছে, ফুয়েলের কী অবস্থা সহ মোট ২০টির ও বেশি ফিচারের মাধ্যমে প্রহরী গাড়িকে রাখবে আপনার নজরের ভেতর।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top