প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

গাড়ির সার্ভিসিং খরচ বাঁচানোর ১০ টি বুদ্ধি!

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খরচের কমতি নেই! প্রয়োজনীয়,স্বল্প প্রয়োজনীয়,সব কিছুতেই খরচ হয় আমাদের। বেহিসবী খরচ ও হয় আমাদের। আমরা চাইলে অনেক সময় খরচকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি। অর্থাৎ একটু বুঝে,শুনে,দেখে সব কিছু পরিচালনা করতে পারলে খরচের লাগাম অনেকটাই টানা যায়। আর এই খরচ কমানোর জন্য আপনাকে জানতে হবে কি ভাবে করলে খরচ কমানো যায়! সব কিছুর ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। গাড়ি! এখনকার জীবনযাত্রার প্রতিদিনেরই অংশ। আর প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভাবে এই গাড়ির সার্ভিসিং এর জন্য খরচ করতে হয়। কিন্তু এই সার্ভিসিং খরচ চাইলে কমানো যায় অনেকটা। প্রতিসময়ের বাড়তি খরচকে কমানোর জন্য কিছু কৌশল রয়েছে। চলুন জেনে নেই, কি কৌশল অবলম্বন করলে গাড়ির সার্ভিসিং খরচ কমানো যায়।

১) দামের তুলনা করা :

গাড়ির সার্ভিসিং খরচ এর দাম সম্পর্কে আমরা অনেক সময় অবহিত নই! কোনো একক জায়গায় দীর্ঘদিন সার্ভিসিং করানোর ফলে অনেক সময় সার্ভিসিং খরচ সম্পর্কে ভুল ধারনা সৃষ্টি হয়,কিংবা না জানার কারনে খরচ বেশি ও হতে পারে। এজন্য সার্ভিসিং খরচ সম্পর্কে আরো ভালো ধারনা পেতে তুলনা করতে হবে, অর্থাৎ আরো কয়েক জায়গায় দেখতে হবে খরচ কেমন পড়ে। এতে সময় ব্যয় হলেও, আপনার জন্য দীর্ঘস্থায়ী ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে। যে মেকানিকের কাছে যাবেন,তাকেও এই হিসেবের একটা ধারনা দিতে পারেন, এতে তুলনামূলক ভাবে আপনার খরচ কমে যাবে অনেকটা।

২) বিশ্বাসযোগ্য মেকানিকের কাছে যাওয়া :

মানুষ অনেক রকম রয়েছে পৃথিবীতে। আপনি হয়তো বুঝতেও পারবেন না আপনাকে কি ভাবে ধোকা দিচ্ছে অনেকে। কিংবা এত খেয়াল করার সময় ও আপনার নেই! সব সময় মানুষ চিনতে হবে, এতে অনেক কিছুই পেতে পারেন আপনি। একজন ভালো মেকানিক আপনার সার্ভিসিং খরচের হিসাব অনেক কমাতে পারে। বিশ্বাসযোগ্য যাকে মনে হয় তার কাছেই যাওয়া ভালো। আর এই বিশ্বাসযোগ্যতা হয়ে উঠে সম্পর্কের ফলে। মেকানিক এর সাথে নিজেকেও বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তুললে অনেক ক্ষেত্রেই খরচের বিষয়টা কমতে পারে। আর নিজের পরিচিত বিশ্বাসযোগ্য কোনো মেকানিক না থাকলে, বন্ধবান্ধব,কিংবা আত্মীয়স্বজনদের রেফারেন্স এ বিশ্বাসভাজন কারো কাছে যাওয়া।

বিশ্বাসযোগ্য মেকানিক কাজ ভাল করবে, খরচ কম হবে।
৩) যা প্রয়োজন নেই তা পরিহার করা :

অনেক অপ্রয়োজনীয় কিছুকে আমরা প্রয়োজনীয় করে তুলে অনেক সময়। গাড়ির সার্ভিসিং খরচ বাঁচাতে এই দিকটি খুব ভালো ভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আপনি কোনো না কোনো ওয়ারেন্টির ভেতরে আছে, আপনাকে জানতে হবে কোন কোন জিনিসে সেই ওয়ারেন্টির আওতায় আছে। অনেক সময় আমরা তা ভুলে যাই, এর ফলে নিজেদের খরচের পরিমান ও বাড়ে। সব সময় যা অপ্রয়োজনীয় তা যদি এড়িতে যেতে পারেন তাহলে আপনার অর্থ বাঁচাতে পারবেন।

৪) প্রয়োজনীয় পার্টস আলাদা ভাবে কেনা :

গাড়ি সার্ভিসিং এর জন্য পার্টস বদল খুবই প্রয়োজনীয়। নিজের গাড়ি সার্ভিসিং এর জন্য একটি ভালো কৌশল হতে পারে পার্টস নিজে কিনে নেয়া। গাড়ির সার্ভিসিং খরচ কমানোর এটি একটি সহজ কৌশল। নিজের প্রয়োজন অনুসারে পার্টস কিনে নেওয়া ও খরচ বাঁচাতে পারে। বিশেষ করে অনেক দামী কোনো পার্টস এর ক্ষেত্রে। দেখে,শুনে,বুঝে পার্টস নেয়া গাড়ির জন্য ও হতে পারে ভালো। অনেক গ্যারেজ কিংবা মেকানিক আলাদা পার্টস কেনাকে সমর্থন করে। এ ছাড়া পার্টস এর ক্ষেত্রে কোনো অনিশ্চয়তায় পড়লে, সবাইকে ভালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। এ ছাড়া ও অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধাও নিতে পারেন।

৫) সময় নিয়ে ভেবে নিন :

গাড়ি সার্ভিসিং কিছুটা বিপত্তিকর বিষয়।অনেক সময় একটু ভুল সিন্ধান্ত আরো বিপত্তি বয়ে আনতে পারে। ধীরে সুস্থে সব কিছু নিয়ে চিন্তা করুন আগে। কোথায়, কি ভাবে এর সমাধান মিলবে তা ক্যালকুলেশন করুন আগে। হুট করেই সার্ভিসিং এর ক্ষেত্রে আপনার জন্য ভালো না ও হতে পারে কিংবা খরচ বেশি পরতে পারে, এজন্য সব কিছু নিয়ে নিজেই রিসার্চ করুন আগে।

কী কী ঠিক করা লাগবে তা লিস্ট করে নিয়ে যাবেন।
৬) সব সময় মালিকানার পরিচয় :

সব ক্ষেত্রেই আপনার পরিচয় আপনাকে একটু ভিন্ন মাত্রা দেবে। নিজের গাড়ি সার্ভিসিং এর প্রয়োজনে আপনার গাড়ির স্বত্বাধিকারী পরিচয় আপনাকে ভালো কিছু দিতে পারে। প্রথমেই মেকানিকের সাথে পরিচিত হয়ে নিবেন। আপনার পরিচয়ের উপর খরচ কিছুটা কমতে পারে, কিংবা সার্ভিসিং একটু ভালো পেতে পারেন।

৭) ব্যবহৃত পার্টস খুঁজে নিতে পারেন :

একটি কথা প্রচলিত আছে যে “পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে ” অর্থাৎ পুরোনো জিনিস অনেকটা টেকসই। আর গাড়ি সার্ভিসিং এর ক্ষেত্রে পুরোনো পার্টস ও খুঁজতে পারেন। চেনা জানা কোনো গাড়ির পার্টস প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারেন, এতে টেকসই সহ খরচ ও কমবে।

কখনো কখনো কম দামে ভাল সেকেন্ড হ্যান্ড পার্টস পাওয়া যায়।
৮) অনলাইন কুপন এবং ডিসকাউন্ট :

বর্তমান যুগে অনলাইনে নেই এমন কোনো জিনিস নেই। অনলাইন মার্কেট আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে আরো সহজ। গাড়ি সার্ভিসিং এর ক্ষেত্রে আপনি খুঁজলেই অনলাইনে কিছু সুযোগ পাবেন। অনেক ক্ষেত্রে কোনো কুপন কিংবা ডিসকাউন্ট এর সুযোগ ও হতে পারে। আর এই ডিসকাউন্ট আপনার খরচকে অনেকটা কমাতে পারে। সব সময় খোঁজ রাখতে হবে কোথায় কি রকম চলছে।

৯) নিজের এলাকার চার্জ সম্পর্কে জানুন :

গাড়ির সার্ভিসিং আসলে এলাকা ভিত্তিক ও নির্ভর করে। এমন ও হতে পারে আপনার এলাকায় ভালো সার্ভিসিং নেই, কিংবা থাকলেও চার্জ নেয় খুব বেশি, সেক্ষেত্রে নিজের এলাকা সম্পর্কে জানুন।

১০) নিজের গাড়ি সেভ রাখা :

সব কিছুর এতো প্রয়োজন হবে না,যদি আপনি নিজে একটু সতর্ক থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নিজের গাড়িকে যতটা সম্ভব আয়ত্তে রাখা। রাস্তার অবস্থা বিবেচনা,অনিয়ন্ত্রিত ড্রাইভার, চালানোর গতি সব কিছু নিয়ে আপনি সতর্ক থাকলে গাড়ির খুব একটা সমস্যা হবেনা। এ ছাড়া গাড়ির খোঁজ নিয়মিত রাখা, সব কিছু সাধ্যমতো চেক করা, সময়ে কোনো মেকানিক এনে পরামর্শ নেয়া এসব কিছুই আপনাকে বাঁচাতে পারে বাড়তি খরচের হাত থেকে। গাড়ি চোখে চোখে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন প্রহরী ভেহিক্যাল ট্র্যাকার।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top