প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

নতুন সড়ক পরিবহণ আইন অনুমোদন – সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড!

৬ আগস্ট, ২০১৮, সোমবার মন্ত্রীসভায় নতুন সড়ক পরিবহণ আইন এর খসড়া উপস্থাপন করা হয় এবং মন্ত্রীসভার বৈঠকে আইনটি অনুমোদন করা হয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এই আইনটি পাশ হবার আশা করা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এই আইন প্রণয়ন হলে রাজপথে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বেপরোয়া যানবাহন চালিয়ে মানুষ হত্যা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি ৩০২ ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। বর্তমানে এই অপরাধের শাস্তি রয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড। তবে তদন্তে যদি দেখা যায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গাড়ি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাহলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই চালককে অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হবে এমন বিধান রাখা হয়েছে আইনে। পাশাপাশি বাসের কনডাক্টর বা সহকারীর জন্যও পঞ্চম শ্রেণী পাশ এবং লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে আইনে।

ড্রাইভিং করার বয়স

ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে চালকের ন্যূনতম বয়স ধরা হয়েছে ১৮ বছর। তবে দূরপাল্লার ভারি যানবাহনের ক্ষেত্রে ও পেশাদার ড্রাইভিং এর ক্ষেত্রে এই বয়স সীমা ২১ বছর ধরে আইন খসড়া করা হয়েছে।

লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভিং এর সাজা দিগুণ

নতুন খসড়া আইনে বলা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালালে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ফুটপাথে গাড়ি চালালে শাস্তি

নতুন সড়ক এবং পরিবহণ আইনের খসড়ায় ফুটপাথে যানবাহন চালানোর ব্যাপারেও আইন রাখা হয়েছে। ফুটপাথ দিয়ে গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বধান রাখা হয়েছে।

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা রহিত করণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং একে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাবনায় হয়েছে নতুন সড়ক এবং পরিবহণ আইন। নতুন আইনে বলা হয়েছে, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে, চালক সর্বোচ্চ এক মাসে কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

গাড়ির মালিক ও আসছে আইনের আওতায়

ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করলেও শাস্তির বিধান রয়েছে নতুন সড়ক ও পরিবহণ আইন এর অধীনে। ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানার শাস্তি প্রস্তাবিত হয়েছে খসড়া আইনে। এই শাস্তি ভোগ করবেন গাড়ির মালিক।

জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহারে শাস্তি

কোন চালক যদি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে গাড়ি চালায় তাহলে নতুন সড়ক পরিবহণ আইন অনুসারে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড।

নিয়ম না মানলে কাঁটা যাবে ড্রাইভারের পয়েন্ট

নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে গাড়ির চালকদের পয়েন্ট কাটার একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই পদ্ধতি অনুসারে কোন ড্রাইভার যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তার পয়েন্ট কাটা যাবে। শুরুতে মোট পয়েন্ট থাকবে ১২। পয়েন্ট কাটতে কাটতে যদি তার পয়েন্ট শূন্য হয়ে যায় তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। এবং তাকে আর কখনো লাইসেন্স দেয়া হবে না।

এছাড়াও প্রস্তাবিত খসড়া সড়ক পরিবহণ আইন এ বলা হয়েছে যে, বাস চালকের সহকারীরা লাইসেন্স ছাড়া গাড়িতে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোন গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হলে, অবশ্যই ৩০ দিনের মধ্যে তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কোন গাড়িও রাস্তায় চালানোর উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top