প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

যানজটের বিরক্তিকর সময়কে কাজে লাগানোর ৮টি উপায়

ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে আমাদের অনেক মূল্যবান সময়ের অপচয় হয়। অনেক সময় তাতে হয়তো প্রচণ্ড খারাপ লাগা কাজ করে। তবে এই বিরক্তিকর সময়কেও কাজে লাগানো যেতে পারে। সদিচ্ছা থাকলে যেকোন অবস্থায়ই সময়কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা যায়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নেতিবাচকতার মাঝেও ভাল কিছু করার ক্ষেত্র তৈরি করা যায়। দৈনন্দিন সময়কে কাজে লাগিয়ে অভাবনীয় সাফল্যের পথেও ধাবমান হওয়া যায়। নিত্যদিনের যানজটের সময়টা কাজে লাগাতে বরং কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যা আপনাকে এই একঘেয়ে সময় পার করতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

প্রিয় লেখকের বই পড়তে পারেন   

ঢাকা শহরের দুর্বিষহ জ্যামে যখন আঁটকে থাকে গাড়ির চাকা। তখন মন মেজাজ ঠিক রাখতে কিংবা মানসিক প্রশান্তির জন্য হাতে তুলে নিতে পারেন প্রিয় রাইটারের কোন বই। এমন অনেক বই হয়তো পড়বো পড়বো করে আর পড়া হয়ে উঠেনি। তো এই সময়কে কাজে লাগাতে পড়তে পারেন ভাল মানের কিছু বই। তো করে ফেলুন পছন্দের বইয়ের তালিকা। আর যাই হোক ব্যস্ত জীবনেও এই যানজট আপনাকে বই পড়ার জন্য কিছুটা সময় তো বের করে দিচ্ছে। অনেক সময় নেতিবাচকতার মাঝে থেকেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে বের করা যায়।

ভাল কোন গেমস খেলতে পারেন

সময় কাটাতে বিভিন্ন টাইপের গেমস খেলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘ব্রেইন ট্রেইনিং গেমস’গুলো খেলতে পারেন। এগুলো আপনার মানসিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। স্মার্টফোনে এলিভেট, পিক, লুমোসিটি ইত্যাদি ব্রেইন ট্রেইনিং গেমসগুলো খেলুন। এগুলো আপনার ব্রেনকে শার্প করবে এবং চিন্তাশক্তি বাড়াবে। এছাড়াও নিউজপেপার কিংবা ম্যাগাজিনের দেয়া কোন মজার শব্দজট বা ধাঁধা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। অথবা সময় কাটাতে রুবিকস কিউবও মেলাতে পারেন।

পছন্দের প্রোগ্রাম দেখতে পারেন 

সময়ের অভাবে হয়তো পছন্দের অনুষ্ঠান দেখতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে জ্যামে বসে ইউটিউবে তা দেখে নিতে পারেন। আজকাল প্রায়ই সবার হাতেই স্মার্ট ফোন। এছাড়াও ল্যাপটপ কিংবা ট্যাপ তো আছেই। সুতরাং পছন্দের যেকোন টিভি সিরিজ দেখে নিতে পারেন। কিংবা কোন মোটিভেশনাল স্পিচ অথবা কোন শিক্ষামূলক প্রোগ্রামও দেখতে পারেন। ট্র্যাফিক জ্যামে পড়লে আমরা সচরাচর যা করে থাকি তা হল গান শোনা। সেক্ষেত্রে  কানে হেডফোন লাগিয়ে প্লে-লিস্টের প্রিয় গানের জগতে হারিয়ে যেতে পারেন। কিংবা সুমধুর কোন  গজল, কবিতা আবৃত্তি অথবা এফএম রেডিওর প্রোগ্রামও শুনতে পারেন।

ফটো এডিটিংয়ের কাজ করতে পারেন  

গুণী মানুষেরা সবসময়ই চেষ্টা করেন সময়কে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন কাজে দক্ষতা অর্জন করতে। এর অনন্য উদাহরণ জনপ্রিয় বলিউড তারকা শাহরুখ খান। ট্র্যাফিক জ্যামের বিরক্তিকর সময়কে তিনি কাজে লাগান একটু ভিন্নভাবে। তিনি এই সময় বসে বসে কিংবা ঘুমিয়ে অপচয় করেন না। বরং এই সময়টাকে কাজে লাগাতে মোবাইলে ফটো এডিটিংয়ের কাজ করেন। এভাবে ফটো এডিটরের কাজ করতে করতে তিনি অনেকটাই দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তো আপনিও এই জনপ্রিয় তারকার মতোই জ্যামের সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর ক্ষেত্র বিশেষে তা হয়তো আপনাকে বিকল্প পেশার মুখও দেখাতে পারে।

সারাদিনের রুটিন সেট করতে পারেন

সকালবেলা ভার্সিটি, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বের হয়ে জ্যাম পড়ে ভাবছেন, যে সারাটা দিনই মাটি হয়ে গেল! কিন্তু না বরং এই সময়কেও কাজে লাগাতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে পারেন। গাড়িতে বসে সারাদিনের কাজের প্ল্যান, রুটিন কিংবা কোন প্রোজেক্টের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে। আর এর ফলে মাথায় নতুন কোন আইডিয়া আসলে তা ডায়েরি কিংবা নোটবুকে টুকে রাখলে সেটা পরবর্তীতে কাজে দিবে। কখন কোন আইডিয়া কাজে লেগে যায় তা তো বলা যায় না। অনেকসময় হুটহাট করে আসা কোন আইডিয়াই বিশাল সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। তবে অবশ্য তার জন্য কঠিন পরিশ্রম, একনিষ্ঠতা এবং অধ্যবসায়ও থাকতে হয়।

হোমওয়ার্ক বা এস্যাইনমেন্ট করতে পারেন

ট্র্যাফিক জ্যামের সময় শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় হোমওয়ার্ক করে নিতে পারেন। কিংবা কোন জরুরী এস্যাইনমেন্ট থাকলে তাও রেডি করতে পারেন। এছাড়াও চাকরি প্রার্থীরা বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার জন্য স্টাডি করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষামূলক সাইট আছে যা থেকেও আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। ইউটিউবের বিভিন্ন শিক্ষণীয় টিউটোরিয়াল দেখেও অনেক কিছু শেখা যায়। যেমন-ইউটিউব দেখে দেখে মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্টের কিংবা টুকটাক গ্রাফিক্সের কাজও শিখতে পারবেন।

মনের ভাবনাগুলো গুছিয়ে লিখতে পারেন 

জ্যামে পড়ে গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে হয়তো খারাপ লাগা শুরু হতে পারে। তো তখন এই পীড়াদায়ক সময়কে কাজে লাগাতে সৃজনশীল কোন কিছু করার চেষ্টা করতে পারেন। আপনার মনের গহীনের অপ্রকাশিত ভাবনাগুলো ডায়েরির পাতায় লিপিবদ্ধ করুন। কিংবা আশেপাশের মানুষজনের জীবনযাপন অথবা দৃশ্যপটগুলোকে মনে গেঁথে তাও লেখনীর ভাষায় প্রকাশ করতে পারেন। কে জানে  হয়তো এভাবেই আপনার ভেতরের লুকায়িত লেখক সত্তাটার আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে!

অস্থিরতা দূর করতে চেষ্টা করুন

অনেকসময় দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকলে মানসিক অস্থিরতা এবং উদ্বেগ কাজ করে। আর এসব থেকে মুক্তি পেতে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে চেষ্টা করুন। যানজটের দুর্ভোগের কথা ভুলে গিয়ে পছন্দের কোন কিছুতে মনোযোগ দিন। সাময়িক উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়ে বরং শান্ত থাকতে চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে বড় করে জোরে জোরে নিশ্বাস টেনে নিন এবং আস্তে আস্তে তা ছাড়ুন। আবার চোখ বন্ধ করে কোন সুখময় স্মৃতি কিংবা শৈশবের কোন মজার ঘটনার কথাও ভাবতে পারেন। এতে আপনার সাময়িক অস্থিরতা এবং উদ্বেগ অনেকটাই কেটে যাবে।

যানজটের সময়টা হয়তো অনেক বেশি বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে। তবে এই বিরক্তিকর সময়কে পার করতে ভিন্নধর্মী যেকোন কাজ করাই যেতে পারে। এতে যেমন আপনার সময়ের সদ্ব্যবহার হবে তেমনি নতুন কোন কাজেও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। আর সার্বক্ষণিক যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা আপনার প্রিয় গাড়িটির শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভেইকেল ট্র্যাকার ইউজ করতে পারেন। এতে আপনি সবসময়ই নির্ভাবনায় থাকবেন এবং অনেকটাই নিরাপদ হবে আপনার পথচলা।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top