১.
১৮৯৪ সালে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের প্রথম অটোমোবাইল রেসিং থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত, মোটর স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট যা কিছু আছে- সবখানেই মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং এর পূর্বসূরি মোটর ব্র্যান্ডগুলোর সাফল্যগাঁথা ও জয়জয়কার। উনিশ শতক থেকেই স্টুটগার্ডের রেসিং এবং র্যালি গাড়িগুলো রেসিং প্রতিযোগিতার শীর্ষে অবস্থান করে আছে। তাদের বিজয়ের ইতিহাসের সাথে প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং চালকের ইচ্ছাশক্তিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
১৮৯৪ সালেই ইতিহাসের প্রথম রেসিং প্রতিযোগিতায় মার্সিডিজ বেঞ্জ সর্বপ্রথম অংশ নেয়। ১৯০১ সালে নাইস রেস উইকে মার্সিডিজ সর্বপ্রথম গ্র্যান্ড প্রিক্স শিরোপা ঘরে তোলে। ১৯১৪ সালের লিয়ন গ্র্যান্ড প্রিক্সের প্রথম- দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থান সবগুলোই যায় মার্সিডিজ বেঞ্জের দখলে(ডাইমলার, মটরেন, গ্যাসেলশ্যাফট)। এরপর, ১৯২২ সালে শুরু হয় সুপারচার্জ গাড়ির যুগ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পরে সবচে গুরুত্বপূর্ণ সিল্ভার এ্যারো যুগ এবং সর্বোপরি র্যালি রেসিং এবং অনন্য সব রেকর্ডই মূলত এইসবই আজ ফর্মুলা ওয়ান, ডিটিএম (জার্মান ট্যুরিং কার মাস্টার্স) এবং কাস্টমার স্পোর্টসের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে।
![](https://www.prohori.com/wp-content/uploads/2019/05/benz1prohori.jpg)
বিভিন্ন অটোমোবাইল ল্যাবরেটরি, ওয়ার্কশপ এবং ফ্যাক্টরি বিল্ডিঙের সমস্ত কাজ এবং মোটর স্পোর্টস যেন একই সুতোয় বাঁধা। জাঁকজমকপূর্ণ মোটর স্পোর্টস এবং উন্নত মানের গাড়ি উৎপাদনের মধ্যে এক ধরণের নিবিড় যোগসাজশ রয়েছে। রেসিং গাড়ির নিত্যনৈমিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমে গাড়ির সিরিজ প্রোডাকশন হয়ে থাকে। মার্সিডিজের পূর্বসূরি কোম্পানিগুলোতে কাজ করার ফলে ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা অর্জন, তাদেরকে রেসিং গাড়ি তৈরি করার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে। প্রযুক্তি এবং কৌশলের মধ্যে এই বিনিময়, মোটর রেসিং ইতিহাসের একেবারে শুরুর যুগ থেকেই দেখাযায়।
আরেকটু বিশদভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, এই যৌথ এবং উভয়মুখীবিনিময় এখনো বজায় রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা এবং মোটর স্পোর্টের সাথে রেসিং প্রতিযোগিতায় একটি আবেগের সম্পর্ক এখনো বিদ্যমান। এই ক্রমবিকাশমান বৈশ্বিক বাজার এবং গ্রাহকের অগ্রাধিকারের বিবেচনা মাথায় রেখে মার্সিডিজ বেঞ্জও এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধনের মাধ্যমে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক শাখার জন্ম দিয়েছে- যার আসল ভূমিকায় ছিল দক্ষ অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।
মোটর স্পোর্টসে গাড়ি এবং গাড়ির চালক; এই দুই-ই মূল চরিত্র হিসেবে বিবেচিত হলেও,গাড়ির ব্র্যান্ড এবং দলের সহায়তা ছাড়া,একজন সেরা ড্রাইভারে পক্ষে সেরা গাড়িটি নিয়েও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া অনেকটা অসম্ভবই বটে। তাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাই মোটর স্পোর্টসে প্রতিটি রেইসের হার-জিতের ব্যবধান গড়ে দেয়। দল, প্রযুক্তি এবং কৌশলের সঠিক সমন্বয় হচ্ছে প্রতিযোগিতায় জয়ের মূল চাবিকাঠি। ফলে, যদি মনে করেন, গাড়ির রেসিং শুধুমাত্র পতাকার সিগনালের সাথে শুরু এবং শেষ হয় তাহলে কিছুটা ভুলই হবে। মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো গাড়ির ব্র্যান্ডগুলো; যারা মোটর স্পোর্টসে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এবং প্রতি বছরই কোন না কোন প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করছে, তারা রেসিং সারকিটের বাইরেও তাদের গাড়ির প্রমোশন করে থাকেন। একই সাথে রেসিং এবং পণ্যের (গাড়ি) প্রদর্শন কৌশল মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং এর পূর্বসূরি গাড়ির ব্র্যান্ডগুলো কর্তৃক বহুল সমাদৃত হয়েছিল। ১৯০৭/০৮ সালের মার্সিডিজ বেঞ্জের বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, “আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান উন্নতি এবং উন্নয়নের ধারা ধরে রাখার জন্য, মোটর রেসিং এর খরচকে আমরা অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজন মনে করি।
২.
উনিশ শতকের শেষ এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, মোটর স্পোর্টসের প্রারম্ভিক প্রতিযোগিতাগুলো অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর নির্ভরযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা প্রমান করে এবং হর্সলেস কেরিজ হসেবে মানুষের মন জিতে নেয়। মোটর রেসিং এর শুরুর দিকে ইউরোপের এবং বিশ্বের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতাগুলোতে, কেবলমাত্র মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং ডাইমলার কোম্পানির গাড়িগুলো অংশ নিতো। তারা নিয়মিতভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিনিয়তই স্পীড ব্রেকিং এর রেকর্ড গড়তো। মোটর রেসিং বা মোটর স্পোর্টসের জন্ম আজ থেকে প্রায় একশ বিশ বছর আগে ফ্রান্সে। ডাইমলার কোম্পানির মূল কারখানায় তৈরি করা সিস্টেম ডাইমলার নামক একটি দুই সিলিন্ডারের ভি-ইঞ্জিন কয়েকটি গাড়িতে ব্যাবহার করা হয়েছিল। ডাইমলার ইঞ্জিন দ্বারা চালিত গাড়িগুলো পৃথিবীর রেসিং ইতিহাসের প্রথম রেস (প্যারিস থেকে রুয়েন) এবং প্যারিস-বরডেক্স-প্যারিস রেস জিতে নিয়েছিল।
![](https://www.prohori.com/wp-content/uploads/2019/05/marbenzprohori.jpg)
আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল রেসিং এ ডাইমলার-মটোরেন-গ্যাচেলশাফটের সাফল্য ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিণত হতে থাকে। ১৯০১, ১৯০২ এবং ১৯০৩ সালে, নাইস রেস উইকে মার্সিডিজের ধারাবাহিক জয়, বেঞ্জ ২০০ এইচপি’র ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার গতি অর্জন মার্সিডিজ বেঞ্জকে মোটর রেসিং স্পোর্টসের চূড়ায় নিয়ে যায়। আর সেই ১৯১৪ সালের মার্সিডিজ-মটরেন-গ্যাসেলশ্যাফটের ট্রিপল শিরোপা জয়কে এখনো মোটর স্পোর্টসের ইতিহাসের অন্যতম বিজয় বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
ডেইমলার-মটোরেন-গ্যাসেলশাফটের সাথে বেঞ্জ সি’র সংমিশ্রণের ১৯২৬ সালে ডেইমলার বেঞ্জ এজি গঠন করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে মোটর স্পোর্টসে এই দুইটি কোম্পানির সাফল্য পরিলক্ষিত হয়। ১৯২০ দশকের শেষ দিকে শুরু হয় সুপারচার্জড মার্সিডিজ বেঞ্জের যুগ। এই গাড়িগুলো তখনকার সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেসিং ট্রফি জয় করে এবং বিশেষ করে মার্সিডিজ এস-সিরিজের গাড়িগুলোক সাদা হাতি বলে অভিহিত করা হতো। ১৯৩১ সাল পর্যন্ত রেসিং সার্কিটে একচ্ছত্র রাজত্বের মুকুট ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জের মাথায়। সে বছর রুডলফ কারাসিওলা শর্ট হুইলবেজ এসএসকে মডেলের সাহায্য অসাধারণ একটি রেস জয় করেন।
মার্সিডিজের যুদ্ধবিঘ্নিত সিলভার অ্যারো যুগের স্থায়িত্ব ছিল ১৯৩০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত। সিলভার রঙের বডি, দুর্দান্ত ইঞ্জিন, ঐতিহাসিক জয়, রেকর্ড গড়া এইসব রেসিং গাড়িগুলোকে একটি পরিবার হিসেবে বিশেষায়িত করার জন্য, এখনো ব্র্যান্ড হিস্টোরিয়ানরা এগুলোকে একসাথে সিলভার অ্যারো হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইউরোপিয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্সে মার্সিডিজ বেঞ্জের সিলভার অ্যারো একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ১৯৫২ সালে, ৩০০ এসএল রেসিং স্পোর্টস গাড়ি নিয়ে মার্সিডিজ বেঞ্জ পুনরায় মোটর স্পোর্টসে ফিরে আসে। ডব্লিউ ১৬৯-আর মডেলের গাড়ি দিয়ে, তারা ১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ সালের ফরমুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছিল। এর সাথে ১৯৫৫ সালে ৩০০ এসএলআর (ডব্লিউ ১৯৬এস) মডেলের গাড়ি দিয়ে স্পোর্টস কার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছিল।
৩.
বাজারে টিকে থাকার জন্য যে শুধু রেসিং গাড়িই নয়, এর পাশাপাশি প্যাসেঞ্জার গাড়িও উৎপাদন করতে হবে। এই বোধটা মার্সিডিজের মধ্যে প্রথম কাজ করে ১৯৫৫ এর শেষ দিকে। নতুন প্যাসেঞ্জার গাড়ির উদ্ভাবন এবং উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে স্টুটগার্ডের এই গাড়ির ব্র্যান্ডটি কয়েকবছর স্পোর্টস গাড়ির উৎপাদন থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল। তারপরও মার্সিডিজ বেঞ্জের সহায়তায়, অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে মোটর স্পোর্টসে অংশ নিয়েছিল, এবং গাড়ি রেসিং পরিমণ্ডলে তাদের সরব উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বিভিন্ন ধরণের বেশ কয়েকটি মডেলের মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি, বিভিন্ন রেসিং প্রতিযোগিতায় তাদের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৬০ এর শুরুর দিকে ‘টেইলফিন সালুন’ (ডব্লিউ১১১/১১২) এবং ২৩০ এসএল (ডব্লিউ১১৩) আন্তর্জাতিক র্যালি ট্র্যাকে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ১৯৭০ এর শেষ দিকে এসএলসি লাক্সারি কৌপও রেসিং র্যালিতে তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল। এবং এর পরেই আসে জি-মডেলের গাড়ি, যা ১৯৮৩ সালে প্যারিস ডাকার র্যালি জিতে নেয়। মার্সিডিজ বেঞ্জের বাণিজ্যিক গাড়িগুলোও সমানভাবে বিভন্ন রেসিং প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থান গড়ে নিয়েছিলো। মার্সিডিজ বেঞ্জ প্রতিনয়তই এমন সব গাড়ি উৎপাদন করতো, যারা মোটর রেসিং’এ অংশ নিলেই নতুন নতুন রেকর্ড করে ফেলতো। এদের কিছু ছিল কেবলই গবেষণার জন্য তৈরি, আর কিছু ছিল পুরনো মডেলের গাড়ির উন্নত ভার্শন।
![](https://www.prohori.com/wp-content/uploads/2019/05/benzrace.jpg)
আশির দশকের শেষ দিকে আবারো মার্সিডিজ বেঞ্জ সার্কিট মোটর রেসিং এর পুরোদমে ফেরত আসে এবং পরপর দুটো গ্রুপ-সি স্পোর্টস কার রেসিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেয়। একই সাথে স্টুটগার্ডের এই গাড়ি কোম্পানিটি জার্মান ট্যুরিং কার চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এরপর ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিং কার চ্যাম্পিয়নশিপও জয় করে নিয়েছিল। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৬, এই দশ বছরে মার্সিডিজ বেঞ্জ তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ টাইটেল জয় করেছিল এবং চারবার রানার-আপ হয়ে রেস শেষ করেছিল। ২০০০ সাল থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জ আবারো ডিটিএম চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়া শুরু করে এবং রেস জয়ের দৌড়ে ২০০০, ২০০১, ২০০৩, ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। এরপর তিন বছরের শিরোপা খরার পর ২০১০ সালে আবারো সার্বিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে।
৪.
নব্বইয়ের দশক জুড়ে ডিটিএম এবং গ্রুপ সি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর মার্সিডিজ আবারো মোটর স্পোর্টসের শীর্ষস্থানীয় এবং মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন ফরমুলা ওয়ানে প্রত্যাবর্তন করে। তবে তারা একক ভাবে অংশ নেবার আগে, ১৯৯৪ সালে সাউবার-মার্সিডিজ এবং ম্যাক্লারেন- মার্সিডিজ মিলে দলবদ্ধভাবে অংশ নেয়। এই সময়ের মধ্যে রেসার মিকা হাকিনেন দুইবার (১৯৯৮ এবং ১৯৯৯) এবং লুইস হ্যামিল্টন একবার (২০০৮) ফরমুলা ওয়ান শিরোপা জেতেন। ওয়েস্ট-ম্যাকলারেন-মার্সিডিজ দলবদ্ধভাবে একবার (১৯৯৮) শিরোপা জয় করতে সক্ষম হয়েছিল।
মার্সিডিজের নতুন যুগের উত্থানঃ ২০১০ সালে মার্সিডিজ বেঞ্জ আবারো এককভাবে তৈরি নিজেদের দল নিয়ে ফরমুলা ওয়ান প্রতিযোগিতায় ফিরে আসে এবং তৎকালীন বিশ্বসেরা রেসার মাইকেল শুমাখারকে সাইন করায়। ২০১৩ সালে অবসরের পর মাইকেল শুমাখারের জায়গায় আবারো স্থলাভিষিক্ত হন লুইজ হ্যামিলটন। ২০০৮ সালে লুইস হ্যামিলটন মাত্র ২৪ বছর বয়সে ফরমুলা ওয়ানের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজের নাম লিখান। এর পর থেকে ফরমুলা ওয়ান জয়ের মঞ্চে তিনি নিয়মিত হয়ে ওঠেন এবং ২০১০ এর পর থেকে মোট এগারোটি শিরোপা অর্জন করতে সক্ষম হন। ২০১২ সালে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড প্রিক্সে একটি সিলভার অ্যারোকে সাথে নিয়ে নিকো রোজবার্গ সর্বপ্রথম গ্রান্ডপ্রিক্স খেতাব জয় করেন। মার্সিডিজ এএমজি প্যাট্রনাস দল হিসেবে ২০১৩ সালের শেষ দিকে কন্সট্রাকশন চ্যাম্পিয়নশিপে ২য় স্থান অর্জন করে। ২০১৪ থেকে শুরু করে ২০১৭, প্রতিবছরই ওয়ার্ল্ড কন্সট্রাটক্টর চ্যাম্পিয়নশিপে মার্সিডিজ বেঞ্জ প্রথম স্থান নিশ্চিত করে আসছে। আর ওয়ার্ল্ড ড্রাইভার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিবছরই প্রথম স্থানের পাশাপাশি দ্বিতীয় (২০১৪/১৫/১৬) এবং তৃতীয় (২০১৭) অবস্থানে থেকে রেস শেষ করে।
![](https://www.prohori.com/wp-content/uploads/2019/05/benz10prohori.jpg)
মার্সিডিজের ইতিহাসের সাথে মোটর স্পোর্টসের ইতিহাস অনেকটা অবিচ্ছেদ্য এবং ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এবং এই কথা অনস্বীকার্য যে, মোটর স্পোর্টসে জড়িত থাকার ফলেই তাদের অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অভূতপূর্ব উন্নতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। এই আলোকে বলাই যায়, মোটর স্পোর্টসই বেঞ্জকে ভবিষ্যত যাত্রায় সবসময় গতিময় করে রেখেছে।