Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Allow from all Order Deny,Allow Allow from all Order Deny,Allow Allow from all Options -Indexes Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Deny from all Order Deny,Allow Allow from all Order Deny,Allow Allow from all Order Deny,Allow Allow from all Options -Indexes জাপান থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি আমদানির পদ্ধতি

প্রহরী

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

জাপান থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি আমদানির পদ্ধতি

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জাপানি গাড়ি কেনার চাহিদা সবচাইতে বেশি। নতুন গাড়ির পাশাপাশি, জাপানে তৈরি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। জাপানি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার তালিকায় বাংলাদেশের নাম জাপানের গাড়ি রপ্তানির তালিকায়, উপরের দিকেই থাকে সবসময়। দামে কম পড়ে বিধায় মানুষ জাপান থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার কথা ভাবে। জাপানিজ গাড়িগুলো  নতুন হোক বা পুরানো, এগুলো বেশী  জনপ্রিয় হবার আরেকটি কারণ হল, এগুলো বেশী আরামদায়ক,  দীর্ঘস্থায়ী হয়।  জাপানও বাংলাদেশে তাদের দেশে ব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় গাড়িগুলো কম মুল্যে পাঠিয়ে দেয়। জাপানিরা এক গাড়ি বেশিদিন ব্যবহার করেনা। তাই গাড়ির মানও খুব একটা খারাপ হয়না। আবার এমনও না যে জাপান থেকে নষ্ট গাড়ি পাঠানো হয় । সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িগুলোর একটা নির্দিষ্ট মান বজায় থাকলেও কেবল এই গাড়িগুলো আমদানি করা যায়।

জাপানের অটোমোটিভ বাজারের দিকে বাংলাদেশি গাড়ি ক্রেতাদের এই আকর্ষণের প্রধান কারন হচ্ছে, জাপান বেশ অনেক মডেলের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি, কম মুল্যে কেনার সুযোগ দিয়ে থাকে। মানের দিক দিয়েও জাপানি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির সুনাম সারা বিশ্বে। জাপানের ব্যবহৃত গাড়িগুলো বাংলাদেশে বেশী জনপ্রিয় হয়ে থাকে কারণ, এগুলোর উপর নির্ভরশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা মানুষের মধ্যে প্রশংসনীয় । এবং এসব গাড়ির সাথে যেসব পার্টসগুলো বাংলাদেশে আসে সেগুলোও ন্যায্য মুল্যে পাওয়া যায়।

দিন দিন গাড়ি ব্যবহারকারী বাড়ছে। এক সময় শুধু উচ্চবিত্তরা গাড়ি ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও গাড়ি কিনছে। অর্থাৎ এই কথা সহজেই বলা যায় যে, এসব সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির গ্রহণযোগ্যতাও দিন দিন বাড়ছে।  জাপান থেকে আমদানি করে আনা একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি, দেশের রাস্তায় অনায়াসে ১০-১৫ বছর ব্যবহার করা যায়। শুধু যে বাংলাদেশে জাপানি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির এত চাহিদা তা নয়। প্রায় সব দেশেই জাপানি গাড়ির ব্যাপক চাহিদা।

বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে জাপানি গাড়ি আমদানি করে থাকে।  বাংলাদেশের রাস্তায় যেসব গাড়ি চলে তার মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ গাড়িই হচ্ছে জাপান থেকে আমদানিকৃত। কিন্তু সব গাড়িগুলো আমদানি সবচাইতে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, বাংলাদেশে আনার জন্য গাড়িগুলো রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ গাড়ি হতে হয়। কারন বাংলাদেশের রাস্তায় রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ গাড়িগুলোই চলে।

কীভাবে গাড়ি পাঠানো হয়?

জাপান থেকে গাড়ি বাংলাদেশে সমুদ্রপথে জাহাজে করেই আনতে হয়। জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে গাড়িগুলো ঢাকায় আসে।  জাপানি গাড়িগুলোর মধ্যে টয়োটা গাড়ি সবথেকে বেশী পরিমাণে বাংলাদেশে আমদানি করা  হয়। কারন টয়োটার চাহিদাই বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি। সাধারণত বিদেশ থেকে জাহাজে গাড়ি আনার প্রক্রিয়াটিকে ‘রোরো’ বলা হয় । রোরো বলতে ‘রোর অন’ এবং ‘রোর অফ’। অর্থাৎ গাড়ি কন্টেইনার থেকে নামানো বা ওঠানো বোঝানো হয়। এরপরও যদি কোন ক্রেতা বিশেষ কোন পদ্ধতিতে গাড়ি আনাতে চায় তাহলে আনাতে পারে। সেক্ষেত্রে আনার পদ্ধতি ও কন্টেইনারের উপর নির্দিষ্ট পরিমান খরচ দিতে হয়।

রোরো পদ্ধতি।
বাংলাদেশে যানবাহন আমদানির শর্ত

সেকেন্ড হ্যান্ড জাপানি গাড়ি, মাইক্রোবাস, ট্রাক্টর, মিনিবাস, জীপগাড়ি এবং পুরানো গাড়ি জাপান থেকে আনা যাবে। তবে এসব সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি আনার জন্য কিছু শর্ত ও নিয়ম মানতে হয়।

  • ব্যবহৃত গাড়ি গাড়িগুলো যে দেশে তৈরি, শুধুমাত্র সে দেশ থেকেই আনা যাবে। তৃতীয় কোন দেশ থেকে আনা যাবে না। অর্থাৎ এক দেশে তৈরি করে, অন্য দেশ থেকে পাঠানো যাবেনা।
  • যানবাহনগুলো চার বছরের বেশী পুরান হওয়া যাবেনা।
  • আমদানিকৃত গাড়িগুলোর বয়স নির্ধারণের জন্য, চ্যাসিস উৎপাদনের পরবর্তী বছরের প্রথম দিন থেকে গাড়ির বয়স গণনা করতে হবে।
  • বাংলাদেশে গাড়ি আমদানির জন্য গাড়িগুলোকে ‘রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ’- অর্থাৎ গাড়ির ইস্টিয়ারিং ডান দিকে হতে হবে।
  • জাপান অটো অ্যাপ্রাইসাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির বয়স, মডেল নম্বর,  চেসিস নম্বর ইত্যাদি থাকতে হবে। এই সার্টিফিকেটগুলো অবশ্যই কাস্টমস অথোরিটির নিকট জমা দিতে হবে।
  • যেহেতু প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাই কমপক্ষে এক মাসের জন্য পোর্টে স্টোরেজ রাখা উচিৎ।
চিটাগাং পোর্টে পার্টস আনা হচ্ছে।
পোর্ট ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ :
  • ওয়ার্ক পারমিট এবং মূল পাসপোর্ট ।
  • রেজিস্ট্রেশন এবং গাড়ির বয়স নির্ধারণের জন্য চালানপত্র।
  • জাহাজে গাড়ি বহনের বিল এর মূল কপি।
  • বিদেশীদের জন্য আমদানি, রপ্তানির ক্ষেত্রে, প্রধান নিয়ন্ত্রকের থেকে আমদানির অনুমতিপত্র।
  • শিরোনাম এবং নিবন্ধনের সার্টিফিকেট।
  • মূল দেশের সার্টিফিকেট (যে দেশে গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে তার সার্টিফিকেট)।
  • গাড়ি আমদানির অনুমোদিত চিঠি।
  • গাড়ির অবস্থার পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট।

   আমদানির ক্ষেত্রে কর ।
  • আমদানি কর; ০-৪০%।
  • অবকাঠামো উন্নয়নে ২.৫% আমদানি কর ধার্য করা হয় ।
  • ভ্যাটের জন্য ১৫ % দিতে হয়।
  • একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আমদানিকৃত যানবাহনের উপর আবগিরি শুল্ক আরোপ করা হয়। বাংলাদেশে শুধুমাত্র কিছু বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত বা কুটনৈতিক কিছু ব্যক্তি শুল্ক ছাড় গাড়ি আমদানি করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশেড় অন্যান্য মানুষ এমনকি বিদেশীদের জন্য একই পরিমান কর দিয়ে গাড়ি আমদানি করতে হবে।
এক নজরে বাংলাদেশে গাড়ির আমদানি প্রক্রিয়া

যেহতু বাংলাদেশে বিপুল পরিমান সেকেন্ড হ্যান্ড জাপানি গাড়ি আমদানি করা হয়, এই আমদানির কাজটি কখনো কখনো বিভিন্ন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি এই কাজটি মানুষের সুবিধার্থে করে দেয়। তবে এসব তৃতীয় পক্ষর মাধ্যমে গাড়ি আনার ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। তাদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে এবং দামের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করে গাড়িগুলো আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। আরো খবর নিয়ে দেখবেন শিপমেন্ট ট্র্যাক করার সুবিধা দিচ্ছে কিনা।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top