প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

অভিনব ফিচার এবং গঠনের টেসলা ইলেক্ট্রিক সেমি ট্রাক ও তার খুঁটিনাটি

গত নভেম্বরে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এলন মাস্ক। তিনি টেসলা ইলেক্ট্রিক সেমি ট্রাক প্রজেক্ট সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন। গত গ্রীষ্মকাল থেকেই তিনি তার এই প্রজেক্ট সম্পর্কে অল্প অল্প করে ধারণা দিয়ে আসছিলেন। তাই জনমনে এই সেমি ট্রাক নিয়েও ব্যাপক উৎসাহ উত্তজনা দেখা যায়। ট্রাকটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক বলেন, “এই গাড়িটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, এটি দেখে বা চালিয়ে আপনার মন এতটাই পুলকিত হবে যা কল্পনাতীত”

ট্রাকটি দেখতে কেমন?

যদিও নাম দেয়া হয়েছে সেমি ট্রাক, তবুও এটি আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রাকের মতই। এমনকি এটি আরো বেশি কর্মক্ষম। ট্রাকটিতে ডিজেল ট্যাংকের পরিবর্তে একটি ইলেক্ট্রিক ব্যাটারি রয়েছে। এই ট্রাকে কোন গ্যাসোলিন ট্যাংকও নেই। মডেল-৩ এর কাঠামো অনুসরণ করে, ট্রাকটি তৈরি করা হয়েছে। দুটি মডেল-৩ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রাকের দরজার হাতলেও ব্যবহার করা হয়েছে মডেল-৩ প্রেস বাটন এবং দুটি স্ক্রিনও রেয়েছে। অতএব বুঝাই যাচ্ছে টেসলা কার এবং ট্রাকের মধ্যে অনেক কিছু মিল রাখা হয়েছে। টেসলা ট্রাক একটি স্মার্ট ট্রাক।

গতি?

অন্যান্য ট্রাকের সাথে এই ইলেক্ট্রিক সেমি ট্রাকের তুলনা করেন এলন মাস্ক। তিনি বলেন, “আমরা বুলেটের মত গতিময় করে টেসলা ট্রাকটি ডিজাইন করেছি।” টেসলা সেমি ট্রাকের মাইলেজ রেনজ ৫০০ মাইল। ট্রাকটি মাত্র ৫ সেকেন্ডে ০-৬০ মাইল/ ঘন্টা গতি অর্জন করতে পারে। আর ট্রাকটি সর্বচ্চো ধারণক্ষমতা প্রায় ৩৭ টন বা ৮০০০০ পাউন্ড। সর্বচ্চো ধারণক্ষমতা নিয়ে এর গতি ০-৬০ মাইল প্রতি ঘন্টায় পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২০ সেকেন্ড।

দাম কত?

গাড়ির ডিজাইন এবং গতি নিয়ে কথা বললেও, সম্মেলনে তিনি ট্রাকটির দাম নিয়ে পরিষ্কার কোন ধারণা দেন নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রতি মাইলে একটি ডিজেল ট্রাকের চাইতে ২০ শতাংশ খরচ কমাবে টেসলা ট্রাক।

বাজারে কবে আসবে?

ইলেক্ট্রিক কারের পর ইলেক্ট্রিক ট্রাক এলন মাস্কের নতুন বিস্ময়। তার ভাষ্যমতে টেসলা ইলেক্ট্রিক সেমি ট্রাকটি আগামী ২০১৯ সালে উৎপাদন শুরু হবে এবং বাজারে আসবে। এলন মাস্ক বলেন, “আপনি যদি আজ একটি টেসলা ইলেক্ট্রিক সেমি ট্রাক অর্ডার করেন তাহলে আগামী ২ বছর পর ডেলিভারি পাবেন।

টেসলা ইলেক্ট্রিক ট্রাক, বিলাসবহুল ট্রাক!

টেসলা সব সময়ই ডিজাইনের দিকে বেশি জোর দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় টেসলা ট্রাকের ইন্টেরিয়র সাজানো হয় অভিনবভাবে। চালকের যায়গাটি একটি কক্ষের মত। এবং চালকের আসনটিকে ডানে বা বামে না রেখে রাখা হয়েছে ট্রাকের ঠিক মাঝ বরাবর। এতে করে ট্রাক থেকে চালক তার সামনের দিকে আরো ভালভাবে লক্ষ্য রাখতে সক্ষম হবে। চাইলে এই চালকের সিটটিকে এক পাশে নিয়ে যাওয়া যাবে। বিলাসবহুল কাঠামো সম্পর্কে এলন মাস্ক ঠাট্টা করে বলেন, “ট্রাকটির এই বিলাসবহুল ডিজাইন, ট্রাকের বিপননে যারা থাকবে তাদের জন্য দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।” তিনি আরো বলেন, “যখন কোন কিছু উৎপাদন করবেন সেটিকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তৈরি করুন। এমনকি সেটি দিয়ে যদি সেলসের কোন প্রভাব নাও পড়ে , পণ্যকে হতে হবে সুন্দর এবং মানসম্মত।”

একা একাই চলবে ট্রাক!

এর আগেও স্বয়ংক্রিয় বা সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি দেখা গেলেও, এইটিই প্রথম সেলফ ড্রাইভিং ট্রাক। এই ট্রাকে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম রাখা হয়েছে। অটপাইলট মুডে লেন পরিবর্তন, লেন ডিপারচার ওয়ার্নিং কন্ট্রল করতে পারে। এছাড়াও এই ট্রাকটিতে এক্সটেরিয়র ক্যামেরা রাখা আছে, যা দিয়ে আরো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। জ্যাকনিফিং রোধে ট্রাকের মধ্যে এক ধরনের সেন্সর লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে জ্যাকনিফিং রোধের পাশাপাশি যে কোন ধরনের অসামাঞ্জস্যতা সম্পর্কে ওয়ার্নিং দেয়।

সবকিছু মিলিয়ে টেসলা ইলেক্ট্রিক সেমি ট্রাক কমার্শিয়াল অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি চমকই বলা যায়।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top