প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

গাড়িতে স্মার্টফোনের ৭ টি স্মার্ট ব্যবহার

তথ্য ও প্রযুক্তির এই বৈপ্লবিক উন্নয়নের যুগে, এখন বলতে গেল সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন আমাদের জীবনকে  করছে সহজ এবং সহনীয়। একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ঘরে বাইরে, পথে ঘাটে, অফিস আদালতে, এমনকি রান্না, চিকিৎসা এবং গাড়ি চালনাও অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত জীবনযাত্রা সহজ করতে এর জুড়ি নেই। গাড়িতে স্মার্টফোনের ব্যবহারও আপনাকে বেশ কিছু দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবে। পাশাপাশি কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে সময়কে করবে উপভোগ্য। গাড়িতে স্মার্টফোনের এমন স্মার্ট ব্যবহারই আজকের মূল বিষয়।

দূর থেকে গাড়ি স্টার্ট 

হয়ত কখনো কখনো নিজের মনেই ভেবেছেন, গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সবাইকে চমকে দিবেন; কিন্তু আপনি চাইলেই এখন যেকোন যায়গা থেকে আপনার গাড়িটির স্টার্ট অন করতে পারবেন।গাড়ির স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে দূর থেকে গাড়ি স্টার্ট দেয়া এখন মাত্র কয়েকটি আলতো ক্লিকের ব্যাপার। ভাবুন তো, কতই না আরামদায়ক হয়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রা! আপনি অফিসের লিফটে অপেক্ষা করতে করতে গাড়ি স্টার্ট করে দিলেন, আর লিফট থেকে নেমে পার্কিং এ গিয়ে দেখলেন আপনার গাড়ি আপনার জন্য প্রস্তুত!

গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ

শুধু কি গাড়ির স্টার্ট অন করলেই হবে! ধরুন এই গরমে অফিস থেকে নেমেই ইচ্ছে হবে গাড়িটির ভেতর যেন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশ থাকে। ভাবছেন গাড়িতে উঠে গাড়ির এসি অন করে দিলেই তো হবে! কিন্তু আপনার হাতে যদি একটা স্মার্টফোন থাকে তাহলে অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই গাড়িতে প্রবেশের আগেই ঠিক করে রাখতে পারবেন আপনার গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা।

ডোর লক/আনলক

মানুষ নাকি খেতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতেও চায়। তবে সবখানে সবসময় এই আয়েশি সুবিধা না পেলেও গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে এই আয়েশি সুবিধা আপনি সহজেই পেতে পারেন যদি আপনার হাতের স্মার্টফোনটিতে কার ইন্টিগ্রেশন অ্যাপ থাকে। অফিস থেকে নামার সময়, লিফটে দাঁড়িয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলেন, এসি অন করলেন; প্রচণ্ড ব্যস্ততা থাকলে গাড়ি চাবি পকেট থেকে বের করার হ্যাপা না নিয়ে হাতের স্মার্টফোন দিয়েই গাড়ির দরজা আনলক করতে পারেন। আবার গাড়ি থেকে নেমে, যেতে যেতেই লক করে দিতে পারেন গাড়ির দরজা।

পথের নির্দেশনা দিলে, গন্তব্যে পৌঁছে দেবে স্মার্টফোন

গাড়ির দরজা খোলা থেকে ইঞ্জিন স্টার্ট, সবই তো হলো, এবার গন্তব্যে পৌঁছানোর পালা। ড্রাই করবেন আপনি আর পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। কিন্তু আপনি চাইলে এই কাজটিকেও আরো সহজ করে নিতে পারেন আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে। গাড়ির নেভিগেশন সিস্টেমে আপনার গন্তব্য এবং ট্রাভেল রুট আপডেট করে দিলে, আপনার কাজ শুধু গাড়িতে উঠে বসা। গাড়িই আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবে এবং গাড়িতে স্মার্টফোন গাড়ির গতিবধি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ করে দিবে। গুগল সেন্ড টু কার এরই একটি অনন্য উদাহরণ।

স্পিড লিমিট ঠিক করে দেয়া

গাড়িকে গন্তব্য আর রুট ঠিক করে দিয়ে হয়ত ভাবছেন গাড়ির স্পিড ঠিকঠাক থাকবে তো? পথে কোন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আপনাকে চিন্তিত করে তুললে, আপনি আপনার স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেই গাড়ির গতি সীমিত করে দিতে পারেন। শুধু যে অতো ড্রাইভিং মুডেই গাড়ির গতি সীমিত করে দেয়া যায় তা নয়, নিজে ড্রাইভ করার সময় ড্রাইভারের গাড়ি চালনার সময়ও স্মার্টফোনের অ্যাপ এর মাধ্যমে গাড়ির গতিসীমা ঠিক করে দেয়া যায়, যেমন প্রহরী ভেইকেল ট্র্যাকারের স্পিড লিমিট দিয়ে গতি সীমত করে দিলে, নির্দিষ্ট গতির উপরে গাড়ি চালালে নোটিফিকেশন চলে আসবে মোবাইলে!

গাড়ির সার্বিক দেখাশোনা

কথায় বলে, গাড়ি কেনা আর হাতি পালা নাকি একই কথা। গাড়ির এত দিকে এতকিছুর খবর রাখা অনেক সময় খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তাই গাড়ির খবরাখবর, যেমন- ফুয়েল কতদূর খরচ হল, টায়ারে ঠিকঠাক বাতাস আছে কিনা, ফুয়েল দিয়ে কতদূর গাড়ি চলবে, এইসবই জানাবে আপনার স্মার্টফোন। গাড়ির প্রহরী  ভেইকেল ট্র্যাকারের সাথে গাড়িতে সামার্টফোন অ্যাপ প্রহরী যুক্ত থাকলেই এসব খবরাখবর জানতে পারবেন ফোন থেকেই।

গাড়ি চুরি ঠেকাতে এবং চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধারে

নিজের গাড়ি থাকলে সব সময়েই গাড়ি চুরি হবার ভয় থাকে। বর্তমানে গাড়ি চোরদের উৎপাত এবং অভিনব গাড়ি চুরির কায়দায় এই ভয় আরো প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে। কিন্তু গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার যুক্ত থাকলে গাড়ি চুরি ঠেকানো যাবে। এমনকি গাড়ি চুরি হয়ে গেলে, গাড়ি উদ্ধারেও কাজ করবে স্মার্টফোনে যুক্ত থাকা গাড়ির প্রহরী জিপিএস ভেইকেল ট্র্যাকার

ভাবছেন এতসব ফিচার এতসব অ্যাপ নিয়ে আপনার স্মার্টফোনটিতে অনেক স্পেস লাগবে? না, মাত্র একটি অ্যাপ ব্যাবহার করেই অনেকগুলো ফিচার উপভোগ করতে পারবেন প্রহরীর মাধ্যমে। আপনার গাড়িতে প্রহরী ভেইকেল ট্রাকার ব্যবহার করলেই মোবাইলে বা ল্যাপটপ থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং গাড়ির সুরক্ষা পাবেন একই সাথে!

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top